বঙ্গভুক্তির ৬৫ বর্ষে পদার্পণ পুরুলিয়ার, উঠল যেসব দাবি
বঙ্গভুক্তির ৬৫ বর্ষে পদার্পণ পুরুলিয়ার, উঠল যেসব দাবি
সরকারি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পুরুলিয়া জেলার জন্ম ও বঙ্গভুক্তি দিবসে রাজ্য সরকারের ভাষা সেনানীদের মর্যাদার দাবি জানাল লোক সেবক সংঘ।
বঙ্গভুক্তির ৬৫ বর্ষে পদার্পণ করল পুরুলিয়া জেলা। দিনটি সরকারিভাবে পালিত না হলেও এই অন্তর্ভুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা লোকসেবক সংঘ ভাষা সেনানিদের সন্মান জানিয়ে প্রতিবছরই এই দিনটি উদযাপন করে। ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন বিহার রাজ্যের মানভূম জেলার ষোলোটি থানা নিয়ে পৃথক পুরুলিয়া জেলা হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। এদিন সেই ইতিহাসকে মনে রেখে পুরুলিয়া জেলার জন্মদিন পালন করে লোকসেবক সংঘ। পুরুলিয়ার ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎদের প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
এছাড়াও লোক সেবক সংঘের তরফ থেকে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল আয়োজিত হয়। পরে পোস্ট অফিস মোড়ে একটি সভা আয়োজিত হয়। শোভা যাত্রায় জেলার সংস্কৃতি ছৌ নাচ ও অন্যান্য নিত্য পরিবেশন উপস্থাপন করেন স্থানীয় শিল্পী ও কলাকুশলীরা। এবছর করোনা পরিস্থিতির জেরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভার্চুয়্যাল আলোচনা চক্রের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন সংস্থা এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে পুরুলিয়ার জন্মদিন পালিত হয় দিনটি। এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই ভাষা সেনানীদের মর্যাদার দাবি জানিয়েছে সেবক সংঘ।
লোক সেবক সংঘের সচিব সুশীল মাহাতো জানান, 'ভাষা সেনানীদের মর্যাদার দাবি জানিয়ে আসছি সরকারের কাছে। বঙ্গভূমির এই উদযাপন সেনানীদের প্রতি উৎস্বর্গ করছি আমরা।'
অন্যদিকে, আজকের দিনটি কালা দিবস হিসেবে পালন করল আদিবাসী কুড়মি সমাজের পুরুলিয়া জেলা শাখা। সমাজের রাজ্য নেতা নৃপেণ মাহাতো জানান, 'মানভূম জেলার ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক বিলুপ্তি ঘুটিয়ে তিন খন্ড করে পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে জানিয়ে কালা দিবস পালন করছি আমরা।'
কেতুগ্রামে বড় ধাক্কা তৃণমূলে! দলে দলে যোগ বিজেপিতে