ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ, কবে ভোট তাও জানিয়ে দিল হাইকোর্ট
ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ, কবে ভোট তাও জানিয়ে দিল হাইকোর্ট
ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোট নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। সোমবার এই পুরসভার আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। এদিন সেই ভোটে স্থগিতাদেশ দিয়ে পরবর্তী ভোটের তারিখও জানিয়ে দেওয়া হল হাইকোর্টের তরফে। একইসঙ্গে তিন বিরোধী কাউন্সিলরের ৪ নভেম্বরের জারি করা নোটিশ খারিজ করে আদালত জানিয়ে দেয় ঝালদা পুরসভার পরবর্তী ভোট হবে ২১ নভেম্বর।
৪ নভেম্বর তিন বিরোধী কাউন্সিলর নোটিশ জারি করেছিলেন। তাঁদের সেই নোটিশ খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিরোধী কাউন্সিলরদের নোটিশ খারিজের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঝালদা পুরসবার ভাইস চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকার। সেই মামলাতেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নোটিশ খারিজ করে দেন। এদিনই বিরোধীরা তলবি সভা ডেকেছিল ঝালদা পুরসভায়। যার ফলে শহর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা।
ঝালদা পুরসভার মোট ১২টি আসন। ১২টির মধ্যে ৫টি করে আসন পেয়েছিল কংগ্রেস ও তৃণমূল। নির্দল পেয়েছিল বাকি দুটি আসন। বোর্ড গঠন নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে শুরু হয় দ্বৈরথ। তারই মধ্যে গত ১৩ মার্চ খুন হন কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী তপন কান্দু। তা নিয়ে চরমে ওঠে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। এরই মধ্যে সিবিআই তদন্ত, হাইকোর্ট-সহ নানারকম ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
আবার এর মধ্যে নির্দল প্রার্থী শিলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। উপনির্বাচনে কাকা তপন কান্দুর আসনে ভোটে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করেন ভাইপো মিঠুন কান্দু। কিন্তু আসনটি ধরে রাখলেও বোর্ড গঠন করতে পারেনি কংগ্রেস। তারপর ফের উলটপুরাণ ঘটে। নির্দল প্রার্থী শিলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের সঙ্গ ছাড়েন। তারপরই ফের কংগ্রেসের পালে হওয়া ঘুরে যায়। তারা তৎপর হয় বোর্ড গঠনে। যদিও তৃণমূল মানতে নারাজ যে শিলাদেবী তাঁদের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ঝালদা পুরসভার সমীকরণ একই থাকে। অর্থাৎ তৃণমূল ৫, কংগ্রেস ৫ এবং নির্দল ২।
এরপর কয়েকদিন আগে এক নির্দল কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। তারপরই প্রশ্ন উঠে যায়, তাহলে কি ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হবে তৃণমূলের? এরপরই হাইকোর্ট তিন বিরোধী কাউন্সিলরের আনা নোটিশ খারিজ করে জানিয়ে দিল ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে হবে ২১ নভেম্বরই। সেই আস্থা ভোটেই নির্ধারণ হবে ঝালদা পুরসভা এখন কাদের দখলে থাকবে।
তবে তৃণমূল উপ-পুরপ্রধান এত দেরি করে ২১ নভেম্বর দুপুর সাড়ে বারোটায় কেন তলবি সভা ডাকলেন সেই প্রশ্ন তুলে অনাস্থা আনা কংগ্রেসের পাঁচ ও নির্দলের এক কাউন্সিলর মিলিয়ে ছয় এবং তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করা নির্দলের শিলা চট্টোপাধ্যায় আগামী বুধবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। সোমবার পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতোর পাশে বসে তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করা শিলা জল্পনা বাড়ালেন।এই ছবিতে পরিষ্কার হল তিনি পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার পক্ষে। তবে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না। নির্দল কাউন্সিলর হিসাবেই থাকছেন।
পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলা, জনভিত্তি গড়তে তাই দুয়ারে অভিযান সিপিএমের