দুর্নীতি চাপা দিতে সিআইডিকে ব্যবহার! রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মমতাকে তোপ দিলীপের
সিআইডিকে (CID) দিয়ে কেস চেপে দেওয়া এবং নেতাদের সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trunamool Congress) । এদিন পুরুলিয়ায় এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিন
সিআইডিকে (CID) দিয়ে কেস চেপে দেওয়া এবং নেতাদের সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস (Trunamool Congress) । এদিন পুরুলিয়ায় এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেছেন সিবিআই-ইডি নির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ধরে কাজ করছে।
প্রসঙ্গ আনিস খানের ভাইয়ের ওপরে হামলা
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, প্রশাসন কিংবা পার্টি কোনওটারই নিয়ন্ত্রণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বও রয়েছে। নেতারা ব্যস্ত পরিবারকে বাঁচাতে, পার্টিকে বাঁচাতে। ফলে এই ধরনের ঘটনা বাড়তে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
হঠাৎ সিআইডির তৎপরতা বৃদ্ধি
রাজ্যে
হঠাৎ
সিআইডির
তৎপরতা
বৃদ্ধি
প্রসঙ্গে
প্রশ্ন
করা
হলে
দিলীপ
ঘোষ
বলেছেন,
সিআইডি
সবসময়
রাজ্যে
অবৈধ
কাজকে
বাধা
দেওয়ার
চেষ্টা
করে।
তিনি
অভিযোগ
করেছেন,
তৃণমূলের
জন্য
অন্য
নেতাদের
টাইট
দিতে
কাজ
করে
সিআইডি।
ব্যবসায়ীদের
সঙ্গে
সেটিং
করে।
তিনি
কটাক্ষ
করে
বলেছেন,
যেভাবে
ইডি
আর
সিবিআই-এর
তল্লাশিতে
অনেক
কিছু
বেরিয়ে
পড়ছে,
সেই
সময়
সিআইডিকে
দিয়ে
কিছু
বাঁচানোর
চেষ্টা
করা
হচ্ছে।
তিনি
অভিযোগ
করেছেন,
তৃণমূলের
শ'য়ে
শ'য়ে
নেতা
রয়েছেন,
যাঁদের
কাছে
কোটি
কোটি
টাকা
রয়েছে।
এব্যাপারে
তৃণমূল
সাংসদ
শান্তনু
সেনকে
প্রশ্ন
করা
হলে
তিনি
অভিযোগ
উড়িয়ে
দিয়েছেন।
তাঁর
দাবি
সিবিআই
তৎপরতার
সঙ্গে
কাজ
করছে।
প্রসঙ্গত
সাম্প্রতিক
সময়ে
সিবিআই-আইডির
পাশাপাশি
সিআইডিও
তল্লাশি
অভিযান
চালাচ্ছে।
মালদার
এক
মাছ
ব্যবসায়ীর
বাড়ি
থেকে
১
কোটি
৪০
লক্ষ
টাকা
উদ্ধার
করেছে
সিআইডি।
ওই
মাছ
ব্যবসায়ীদেও
গ্রেফতার
করেছে
তারা।
অন্যদিকে
বাগুইআটির
২
স্কুল
ছাত্রের
হত্যার
ঘটনায়
মূল
অভিযুক্তকে
হাওড়া
স্টেশন
থেকে
গ্রেফতার
করেছে
তারা।
অনুব্রতর বেকসুর খালাস হওয়া
এদিন সকালে পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে চা চক্রে তাঁকে মঙ্গলকোটের বিস্ফোরণ মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বেকসুর খালাস হওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। সেই সময় দিলীপ ঘোষ বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার যেমন বিরোধীদের আটকাতে মিথ্যা কেস দিচ্ছে, সেইভাবেই বাম আমলেও বিরোধীদের আটকাতে মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই হয়তো ছাড়া পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
সিবিআই নিয়ে সরব হয়েছিলেন
পুরুলিয়া সফরের আগে বীরভূম সফরে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। বোলপুরে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে তারা খুশি নন। তিনি বলেছিলেন, শুধু ডাকাডাকি করলেই চলবে না, তাদের ডেকে নিয়ে সাজা দিতে হবে, না হলে মানুষ বিশ্বাস করবে না। অন্যদিকে দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে তদন্ত করছে, তা ঠিক আছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।