
জনসমক্ষে মাদক ব্যবসা, রাজ্য পুলিশের চেষ্টায় উদ্ধার ৬৫কোটি টাকার হেরোইন
জনসমক্ষে কিন্তু মানুষের নজর এড়িয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলত মাদক তৈরির কাজ। রীতিমতো কারখানা মধ্যে চলত এই কাজ। সব কিছু বেশ ভালো চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। তারপর শুরু হয় অভিযান। উদ্ধার হয় ৬৫ কোটি টাকার হেরোয়িন। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গেরই।

রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সর জালে ধরা পড়ল মাদক ব্যবসায়ীরা। গ্রেফতার হল ছয় জন। উদ্ধার হল ৬৫ কোটি টাকার হেরোইন। এর কাঁচামাল, মণিপুর থেকে বর্ধমানে আসত। তারপর তা যেত বাংলা ও ওড়িশার বিভিন্ন স্থানে। হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় এই ঘটনার মামলা রুজু হয়েছে। এসটিএফ তদন্তও শুরু করেছে।
কীভাবে জালে এল চক্রীরা
রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, বর্ধমানে একদম শহরের উপর ছিল ওই কারখানা। পুলিশ এও জানিয়েছে, ওই ৬ জনের মধ্যে দু'জন ছিল ওড়িশা বাসিন্দা। বাকি চার জনের মধ্যে দু'জন মণিপুরের বাসিন্দা, বাকিরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিল।
যেহেতু তিন রাজ্যের ব্যক্তি ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাই ভিন রাজ্যের পুলিশও যোগ দিয়েছিল অভিযানে।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্ধমান শহরের শ্রীপল্লি এলাকায় একটি বাড়িতে গত কয়েক মাস ধরে চলত কারখানাটি। অভিযানের প্রথমেই সফলতা আসেনি, কারণ তিনদিন ধরে গোটা এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও মিলছিল না মাদক কারখানার হদিশ। শেষ পর্যন্ত সোমবার গ্রেফতার হয় মূল চক্রীরা।
মাদক ছাড়াও উদ্ধার
উদ্ধার হয় প্রায় ১৩ কেজি মাদক। জানা যায় এর বাজারমূল্য ৬৫ কোটির কাছাকাছি। নগদ টাকাও উদ্ধার হয়েছে। তার পরিমাণও লক্ষাধিক ছিল বলে জানা গিয়েছে। হেরোইনের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে মাদক তৈরির নানা রাসায়ানিক। বাজেয়াপ্ত হয়েছে নগদ গণনা যন্ত্র, ওজন যন্ত্র-সহ নানা সামগ্রী।