দুর্গাপুর ব্যারেজ বিপত্তি, রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা, জলসংকটের সম্ভাবনা পঃ বর্ধমানে
দুর্গাপুর ব্যারেজ বিপত্তি, রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা, জলসংকটের সম্ভাবনা পঃ বর্ধমানে
পর পর ২ দিন কেটে গেলেও এখনও দুর্গাপুর ব্যারাজের লক গেটের ফাটল মেরামত শুরু হয়নি। যার জেরে বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িেয় রয়েছে রাজ্যে। মেজিয়া জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলের ঘাটতি দেখা দিেত পারে পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অংশে।
দুর্গাপুরে ব্যারাজের লকগেটে ফাটল
গত পরশুিদন দুর্গাপুর ব্যারাজের ৩১ নম্বর লকগেটে ফাটল দেখা দেয়। মৎসজীবীরা প্রথম ফাটল দেখতে পেয়ে সেচ দফতরকে খবর দেয়। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই লকগেটে ফাটল দেখা দিয়েছে। হু হু করে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। শীঘ্রই মেরামত না করা হলে ব্যারাজ জলশূন্য হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা
দুর্গাপুর ব্যারাজে লকগেটে ফাটল দেখা দেওয়ায় মেজিয়া জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যার প্রভাব পড়বে রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহে। এমনকী রাজ্যের বাইরেও তার প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে এখনও পর্যন্ত লকগেট সারানোর কোনও উদ্যোগ সেচ দফতরের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
জলসংকটের আশঙ্কা
লকগেটের ফাটল দিয়ে জল বেরিয়ে যাওয়ায় জলসংকট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়ার একাধিক জায়গায় জলসংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে জল সরবরাহ নিয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় জলের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পাম্প এবং জলের পাউচ পাঠানো হয়েছে এলাকায়।
আক্রমণ বিজেপির
মমতা সরকারের উদাসীনতার কারণেই লকগেটে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর আগেও একবার লকগেটে ফাটল দেখা দিয়েছিল তারপরেই উদাসীন সরকার।