দাঁড়াতে বলা মাত্রই বেড়ে যায় গাড়ির স্পিড! বড়সড় গরু পাচার রুখে দিল স্থানীয়রাই
গরু চুরি কাণ্ডে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলকে। চুরি রুখতে একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কড়া নজর গরু হাটগুলির উপর। এমনকি সীমান্তেও বিএসএফের নজরদারি আরও বেড়েছে
গরু চুরি কাণ্ডে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলকে। চুরি রুখতে একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কড়া নজর গরু হাটগুলির উপর। এমনকি সীমান্তেও বিএসএফের নজরদারি আরও বেড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও গরু পাচার অব্যাহত বাংলাতে। ফের একবারে গরু বোঝাই একটি লরিকে ধরল পুলিশ।
গত কয়েকদিন আগেই মাদার ডেয়ারি কন্টেনারে ভরে গরু পাচারের বড়সড় ছক ভেস্তে গিয়েছে। যা নিয়ে কম রাজনৈতিক বিতর্ক হয়নি। আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার গরু পাচারের চেষ্টা ভেস্তে দিল পুলিশ। মনে করা হচ্ছে বিহার থেকেই মূলত বাংলায় ঢুকছে গরু পাচারকারীরা। বিশেষ করে বীরভূম বা মূর্শিদাবাদের উপর কড়া নজরদারি রয়েছে।
আর তাই ২ নম্বর জাতীয় সড়কে গরু বোঝাই হয়ে চলে যাচ্ছে ভিন জেলায়। আর সেভাবে গিরু পাচার হতেই ধরল পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ধানবাদ জেলায় গরু বোঝাই একটি লরিকে ধরা হয়েছে। তবে এবার পার্শেল ভ্যানের মত বড় কন্টেনার নয়। ছোট লরিতে করে ত্রিপল ঢাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরুগুলিকে। আর সেই সময়েই কার্যত হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ স্যত্রে খবর, ধানবাদ পেরিয়ে আসানসোল সীমানার চেকপোস্টের দিকে যখন যাচ্ছিল গাড়িটি।
সেই সময় গাড়িতিকে ঘিরে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর তখনই ওই গাড়ি স্থানীয়রা ধরে ফেলে বলে জানা যাচ্ছে। প্রথমে স্থানীয়রা হাত দেখিয়ে গাড়িটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে। কিন্তু গাড়িটি স্পিড বাড়িয়ে পালিয়ে যায়। তারপর নিরসার কাছে পাটরা মোড়ে ছোট লরিটিকে ধরা হয়। গাড়ির ভেতর দেখা যায় বেশকিছু গরু রয়েছে।
এরপর ঝাড়খণ্ডের মাইথন থানার পুলিশের হাতে গাড়িটি তুলে দেওয়া হয়। লরি চালক জানায়, বিহারের বক্সার জেলার পশুর হাট থেকে গরু নিয়ে যাচ্ছিল বাংলায়। কিন্তু গরুর হাটের বেচা কেনার কাগজ দেখাতে পারেনি। এরপর গরুগুলি উদ্ধার করে ধানবাদের কাতরাসে গোশালায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য দিন সাতেক আগে ৪০ টি গরু সহ কন্টেনার ধরা পড়ে ধানবাদে। এবার পাচারকারীরা ব্যবহার করছেন ছোট গাড়ি। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই গাড়ি ধরা পড়ে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। গরু পাচারে নিয়ে সর্বত্র কড়াকড়ি। কিন্তু এর মধ্যেও একের পর এক গরু উদ্ধারের ঘটনায় চিন্তা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকাএরিকরা।