ডগ বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা স্ত্রীকে, কাঁকসা খুনের হাড়হিম করা ঘটনার পুননির্মাণ করল বিপ্লব
ডগ বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা স্ত্রীকে, কাঁকসা খুনের হাড়হিম করা ঘটনার পুননির্মাণ করল বিপ্লব
ডগ বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলেন স্ত্রীকে। সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে বারবার মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছিলেন বিপ্লব পারিয়াদ। কাঁকসার রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তিনি। আজ গোটা ঘটনার পুননির্মাণের জন্য তাঁর বাড়িয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানেই বিপ্লব দেখান কীভাবে ডগ বেল্ট দিয়ে খুন করেছিলেন স্ত্রী ইপ্সা প্রিয়দর্শিনীকে।
রবিবার
রাতে
খুন
তিনি
স্ত্রীকে
খুন
করেছিলেন।
তারপর
নিজেই
কাঁকসা
থানায়
গিয়ে
আত্মসমর্পণ
করেন।
ডগ
বেল্ট
গলায়
পেঁচিয়ে
ইপ্সাকে
খুন
করেছিলেন
তিনি।
তাঁরা
দুজনেই
ওড়িশার
বাসিন্দা।
বিপ্লব
এবং
ঈপ্সার
বিয়ে
হয়েছিল
দেখাশোনা
করেই।
রাষ্ট্রয়াত্ব
ব্যাঙ্কের
কাজে
বদলি
হয়েই
কাঁকসা
ব্যাঙ্কের
সহকারী
ম্যানেজার
হয়ে
এসেছিলেন
তিনি।
দুজনের
ছোট
সংসার।
কী
এমন
ঘটল
যে
স্ত্রীকে
খুন
করলেন
বিপ্লব।
তারপরে
আবার
এমন
নৃশংসভাবে
খুন
করা
হল
কেন।
এর
কারণ
অনুসন্ধান
শুরু
করেছে
পুলিশ।
জেরায় বিপ্লব পুলিশকে জানিয়েছেন ইপ্সার ইচ্ছেতেই গাড়ি কিনেছিলেন তিনি। এবং ইপ্সা গাড়ি চালানো শিখতে চেয়েছিল। তার ব্যবস্থাও করে দেন। ইপ্সা বাইরে থেকে খাবার এনে খেতে ভাল বাসত। এমনকী ইপ্সার কোনও চাহিদা অপূর্ণ রাখতে কসুর করেনি বিপ্লব। পুলিশের অনুমান স্ত্রীর বায়নাক্কা মেটাতে গিয়েই রাগের বশে খুন। তদন্তকারীরা তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চািলয়ে দেখেছে স্ত্রীর শাড়ি-গয়না কোনও কিছুরই কমতি ছিল না। বিপ্লব নিজে জানিয়েছেন মাঝে মাঝে স্ত্রীর বায়নাক্কা মেটাতে নিজে মেজাজ হারিয়ে ফেলতেন বলে জানিয়েছেন। খুন করার পরের দিনই সকালে বাইক চালিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
ইপ্সার পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেছেন ওড়িশায় ফ্ল্যাট কেনার টাকা না দেওয়ার জন্যই তাঁকতে খুন করেছে বিপ্লব। যদিও বিপ্লব দাবি করেছেন তিনি ইপ্সাকে খুন করতে চাননি। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি সব কিছু শেষ হয়ে যাবে বুঝতে পারিনি। তবে এই খুনের আরও দিক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পড়ছে পুলিশ। খুনের আরও আনুষঙ্গিক কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে বেহালার পর্ণশ্রীতেও আবাসনে ব্যাঙ্ক কর্মীর স্ত্রী এবং ছেলে খুন হয়েছেন। খুনের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে ব্যাঙ্ক কর্মীকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ রয়েছে পুলিশের। পরিকল্পনা করে তিনি ছেলে ও স্ত্রীকে খুন করেছেন বলে অনুমান পুলিশের। আগে থেকে পরিকল্পনা করে সাজিয়ে গুছিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। দফায় দফায় সেই ব্যাঙ্ক কর্মীকে জেরা করছে পুলিশ।