জেল-সংবাদ শুনেই ভেঙে পড়লেন অনুব্রত? তৃণমূলের মিছিলে দাদার নামে স্লোগান
প্রভাবশালী তত্ত্বেই ফের একবার খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন। আর এরপরেই আসানসোল সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বীরভূমের তৃণমূলের বেতাজ বাদশাকে। আইসোলেশন সেলে আপাতত তাঁকে কয়েকদিন রাখা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আসানসোল আদালতের। প্রভাবশালী তত্ত্বেই ফের একবার খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন। আর এরপরেই আসানসোল সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বীরভূমের তৃণমূলের বেতাজ বাদশাকে। আইসোলেশন সেলে আপাতত তাঁকে কয়েকদিন রাখা হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
তবে আজ বুধবার সকাল থেকে কার্যত খোস মেজাজে অনুব্রত থাকলেও জেল হেফাজত শুনেই ভেঙে পড়েন তিনি। একেবারে চুপ হয়ে যান তিনি।
সাধারণ বন্দির মতোই থাকবেন
আগামী ১৪ দিনের জন্যে আসানসোল জেলই হতে চলেছে অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা। সেখানে কোনও বাড়তি সুযোগ কিংবা সুবিধা পাবেন না বলেই খবর খবর। সাধারণ জেল বন্দিদের মতোই অনুব্রত মণ্ডলকে থাকতে হবে বলে জেল সূত্রে খবর। তবে আগামী কয়েকদিন আইসোলেশনে ওয়ার্ডে রাখা হবে বীরভূমের দুর্দন্ডো প্রতাপ নেতাকে। করোনার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত বলে খবর। তবে জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করার অনুমতি পেয়েছে সিবিআই। ফলে দেহরক্ষী সায়গলের মুখোমুখি বসিয়ে অনুব্রতকে জেরা করতে পারে সিবিআই। ওই জেলেই বন্দি রয়েছেন সায়গল।
ভেঙে পড়েছেন অনুব্রত
বুধবার সকাল থেকেই বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা যায় অনুব্রতকে। সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের উত্তর হাসতে হাসতেই দিয়েছেন তিনি। এমনকি আদালতের মধ্যেও জামিন পাওয়া নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখা গিয়েছিল অনুব্রতকে। মামলার শুনানি শুরু হতেই অনুব্রত মণ্ডল বিচারকের দিকে এগিয়ে যান। এবং হুমকি চিঠিতে কথা বলেন। যদিও তা শুনতে আগ্রহী ছিলেন না বিচারক। এরপর আদালতের এক পাশে বসে গোটা সওয়াল জবাব শোনেন অনুব্রত। যেখানে বুঝতে পারেননি জিজ্ঞেস করেছেন সিবিআই আইনজীবীদের। তবে আদালতের নির্দেশ শোনার পরেই ভেঙে পড়েন কেষ্টদা। আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে বেশ কিছুটা ঝিম হয়ে যান তিনি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কিছু বলার নেই।
অনুব্রত মণ্ডলের নামে জিন্দাবাদ স্লোগান
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল জেলে যেতেই পথে নামল তৃণমূল। বীরভূমে তৃণমূলের তরফে বড়সড় একটি মিছিল করা হয়। ওই মিছিলে বোলপুরে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরী, তৃণমূল নেতা রাণা সিং, কাজল সেখ পয়া মেলান। মিছিলের সামনে ছিঃ বিজেপি ছিঃ পোষ্টার লাগানো হয়। এবং সেই মিছিল থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের নামে জিন্দাবাদ স্লোগান তুলতে দেখা যায় নেতা কর্মীদের। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির বিরদ্ধে এই মিছিল। অনুব্রতের জন্যে নয়।
'ন্যাশানাল ক্রাইম' বলল সিবিআই! বীরভূমে ঢুকবেন না বলেও সওয়াল অনুব্রতের