উত্তরের রাজনীতিতে গোষ্ঠী কোন্দলই কাঁটা শাসকের! ফের প্রকাশ্যে রবীন্দ্রনাথকে তোপ গৌতমের
উত্তরের রাজনীতিতে গোষ্ঠী কোন্দলই কাঁটা শাসকের! ফের প্রকাশ্যে রবীন্দ্রনাথকে তোপ গৌতমের
ভোটের মুখে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। দলেরই বিধায়ক তথা মন্ত্রীর দফতরের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তবে ঘনিষ্টমহলে উত্তরের এই দাপুটে নেতা জানিয়েছেন, বারবার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ তিনি। ইতিমধ্যে বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি জানাবেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় ফের একবার প্রকাশ্যে তৃণমূলের হেভিওয়েট দুই নেতার কন্দোল। যা বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরে তৃণমূলকে যথেষ্ট চাপে ফেলতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
আর সেই গতিতে উন্নয়ন হয়নি!
সম্প্রতি গৌতম দেব তাঁর বিধানসভা এলাকার মধ্যে থাকা চয়নপাড়া এলাকায় যান। সেখানে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে ১৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে রাস্তা ও নিকাশির কাজের শিলান্যাস করতে যান। আর সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী। তাঁর মন্তব, ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ছিলাম। আর ওই দফতরের মন্ত্রী হিসেবে এই এলাকার তিনি অনেক উন্নয়ন করেছিলেন বলে দাবি তাঁর। কিন্তু যে গতিতে সেই সময় উন্নয়ন হয়েছিল সেই গতিতে তার পরে আর উন্নয়ন হয়নি বলে বিস্ফোরক দাবি তাঁর।
নিজের চেষ্টায় কাজ করছি, মুখ্যমন্ত্রী জানেন
এখানেই শেষ নয় এরপরেও আরও বলে চলেন পর্যটকমন্ত্রী। তাঁর কথায় পূর্ত দফতর, জেলাপরিষদ এই সমস্ত এলাকায় অনেক কাজ করেছে। এমনকি, তিনি যে একাধিক প্রকল্প নিজের উদ্যোগ নিয়ে করাচ্ছেন সেই বিষয়টি নিয়েও দাবি করেন গৌতম দেব। তিনি বলেন, যে সমস্ত কাজ উদ্যোগ নিয়ে করাচ্ছেন সেগুলির টেন্ডার হচ্ছে। এসজেডিএর কাছেও কাজের জন্যে প্রস্তাব বিধায়ক নিজে দিয়েছেন বলে দাবি মন্ত্রীর। ৪১ কোটি টাকায় মোট ৫০ টি কাজ হবে। যার মধ্যে ২০ টি ভোটের আগেই শুরু হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। আর এই সমস্ত বিষয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন বলে মন্তব্য গৌতম দেবের। তবে যেভাবে নিজেদের হাতে থাকা সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রীর কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশণ তুলে দিলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা!
গৌতম-রবির দ্বন্দ্ব নতুন নয়
উত্তরের রাজনীতিতে গৌতম দেব এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সংঘাত নতুন নয়। একাধিকবার রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিষদগার উগরে দিয়েছেন গৌতম দেব। গত কয়েকদিন আগে একই ভাবে এই দফতরের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিলেন গৌতম দেব। প্রকাশ্যে তাঁর মন্তব্য ছিল, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে কোনও কাজ হয়নি। নাম না করলেই গৌতম দেবের নিশানায় যে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তা আর আলাদা করে বলার কিছু ছিল। গৌতম দেবের এহেন মন্তব্যে রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয়। এমনকি, দলের তরফেও সতর্ক করা হয় গৌতম দেবকে। কিন্তু তাতে যে দমতে তিনি রাজি নয়, তা ফের বুঝিয়ে দিলেন গৌতমবাবু। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে মধ্যে একটি প্রকল্পের উদ্বোধনে গিয়ে ফের একবার রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে আক্রমণ শানালেন পর্যটনমন্ত্রী।
উত্তরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলই মাথা ব্যাথার কারণ
উত্তরের রাজনীতিতে পায়ের মাটি শক্ত করেছে বিজেপি। একাধিক লোকসভা তাঁদের দখলে। সংগঠনকেও ধীরে ধীরে উত্তরের রাজনীতিতে মজবুত করেছে। সেখানে ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল রীতিমত ভাবাচ্ছে তৃণমূল নেত্রীকে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত খোদ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেকও। আর তাই গত কয়েকমাসে দুইবার উত্তরবঙ্গ গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি উত্তরবঙ্গে গিয়ে একাধিকবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেছেন অভিষেক। কিন্তু তাতে যে কাজ হয়নি তা ফের একবার রবি-গৌতমের কোন্দলে স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, দিনহাটার বিধায়ককে নিয়েও যথেষ্ট চাপে শাসকদল। একাধিকবার বিধায়ক উদয়ন গুহ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। শাসকদলের এই গোষ্ঠী কোন্দল বিধানসভা ভোটে বাড়তি সুবিধা বিজেপিকে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ছবি সৌ:ফেসবুক
বাংলার কৃষকদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে, মাটি উৎসব উদ্বোধনে গিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা মমতার