প্রবল বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গে পাহাড়ে ধস এবং নদীগুলিতে জলস্তর বৃদ্ধির আশঙ্কা! জারি আবহাওয়া দফতরের লাল সতর্কতা
উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ফের অতিপ্রবল বৃষ্টির (Rain) আশঙ্কা। যার জেরে নদীগুলির জলস্তর বাড়তে পারে এবং পাহাড়ে ধস নামতে পারে। এব্যাপারে আবহাওয়া (Weather) দফতরের তরফে এদিন লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ফের অতিপ্রবল বৃষ্টির (Rain) আশঙ্কা। যার জেরে নদীগুলির জলস্তর বাড়তে পারে এবং পাহাড়ে ধস নামতে পারে। এব্যাপারে আবহাওয়া (Weather) দফতরের তরফে এদিন লাল (red) ও কমলা (orange) সতর্কতা (warning) জারি করা হয়েছে। অশান্ত আবহাওয়ার প্রভাব উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার ওপরে কমবেশি পড়তে চলেছে বলেই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
২৭-৩০ জুনের আবহাওয়া
আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, বঙ্গোপাসগার থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের জেলাগুলির ওপরে। যার জেরে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ২৭-৩০ জুনের মধ্যে ভারী থেকে অতিভারীবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে।
২৭ জুলাই কমলা সতর্কতা
আবহাওয়া দফতরের তরফে এদিন অর্থাৎ সোমবারের জন্য দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যে কারণে জারি করা হয়েছেকমলা সতর্কতা। এছাড়াও উত্তকর দিনাজপুরের কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
২৮ জুলাই লাল সতর্কতা
আবহাওয়া
দফতরের
তরফে
২৮
জুলাইয়ে
জলপাইগুড়ি
ও
আলিপুরদুয়ারের
কোনও
কোনও
জায়গায়
অতিপ্রবল
বৃষ্টির
কথা
বলা
হয়েছে।
যে
কারণে
জারি
করা
হয়েছে
লাল
সতর্কতা।
এছাড়া
কোচবিহার,
দার্জিলিং
এবং
কালিম্পং-এ
ভারী
থেকে
অতিভারী
বৃষ্টির
পূর্বাভাস
দেওয়া
হয়েছে।
ওইদিন
উত্তর
ও
দক্ষিণ
দিনাজপুরে
ভারী
বৃষ্টি
হতে
পারে।
২৯ জুলাই কমলা সতর্কতা
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে এই দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর কালিম্পং, কোচবিহার এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে কমলা সতর্কতাজারি করা হয়েছে ওই দিনের জন্য।
৩০ জুন হলুদ সতর্কতা
৩০ জুন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমার সম্ভাবনা। ওই দিন কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্ভাব্য প্রভাব
এই বৃষ্টিতে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর পাহাড়ে ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে তিস্তা, জলঢাকা, সঙ্কোশ এবং তোর্সার মতো নদীতে জলস্ফীতি দেখা দিতে পারে। বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে।মাঠে থাকা ফসল ও সবজির ক্ষতি হতে পারে এই বৃষ্টিতে। পুরসভাগুলির নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
যেসব সবজি কিংবা ফসল পরিপূর্ণতা পেয়েছে, সেগুলি তুলে ফেলতে হবে। ক্ষেতে জমে যাওয়া জল বের করে দিতে হবে। এই সময়ে জমিতে সার ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়াও বজ্রবিদ্যুতের সময় পাকাবাড়িরতলার আশ্রয় নিতে হবে।
মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সংকটে ডেপুটি স্পিকারকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের! পরবর্তী শুনানি ১১ জুলাই