Darjeeling: পাহাড়ে জেগে উঠছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি, পুরবোর্ডের অংশীদার হয়ে কতটা সুবিধা পাবে টিএমসি
Darjeeling: পাহাড়ে জেগে উঠছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি, পুরবোর্ডের অংশীদার হয়ে কতটা সুবিধা পাবে টিএমসি
দার্জিলিং পুরসভা বোর্ড গঠনে অংশিদার হল তৃণমূল কংগ্রেস। নতুন করে আজ ভোটাভুটি হয়। তাতে আস্থা ভোট পর্যাপ্ত পায়নি হামরো পার্টি। শেষে তৃণমূল কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়। এদিকে ফের পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি উঠতে শুরু করেছে। এরই মাঝে পুরসভার বোর্ড গঠনের তৃণমূলের অংশিদার হওয়ায় কী পরিস্থিতি তৈরি হবে তা নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে।
দার্জিলিংয়ে পুরবোর্ডে তৃণমূল
অবশেষে নতুন করে পুরবোর্ড গঠন হল দার্জিলিঙে। আর সেই পুরবোর্ডে সামিল হল তৃণমূল কংগ্রেস। হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার ছিল দার্জিলিং পুরসভার আস্থাভোট। তাতে জিততে পারেনি অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। আস্থা ভোটের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পুরসভা চত্ত্বরে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই হয়েছে ভোট গ্রহন। কিন্তু তাতে জয়লাভ করতে পারেনি হামরোপার্টি। অথচ পুরভোটে যাকে বলে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েই বোর্ড গঠন করেছিল অজয় এডওয়ার্ডের দল হামরো পার্টি।
পুরবোর্ডে তৃণমূল কংগ্রেস
দার্জিলিং পুরসভায় নতুন করে বোর্ড গঠন হয়েছে আজ। হামরো পার্টির জায়গায় বোর্ড গঠন করেছে অনিত থাপার দল। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েই এই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পঞ্চায়েক ভোটের আগে দার্জিলিং পুরবোর্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের সামিল হওয়াতে বিশেষ সুবিধা হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এতে উত্তরবঙ্গে বিশেষ করে পাহাড়ে শাসক দলের ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতে সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গোর্খাল্যান্ডের দাবি
এদিকে নতুন করে পাহাড়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি। এক মঞ্চে ফের দেখা গিয়েছে বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাংদের। পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলির অধিকাংশ একজোট হয়ে একটি মঞ্চ তৈরি করেছে। হামরো পার্টির উদ্যোগে গোর্খা স্বাভিমান সংঘর্ষ সমিতি নামে মঞ্চ তৈরি হয়েছে। রবিবার দার্জিলিঙের ক্যাপিটাল সভা হলে তার একটি বৈঠকও হয়েছে। সেখানে হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সিটিজেন ফোরামের তরফে মহেন্দ্র পি লামা, বিমল গুরুং,বিনয় তামাং। সেই মঞ্চ থেকেই ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবি উঠতে শুরু করেছে।
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সামিল সিপিএমও
বাম আমল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল পাহাড়ে। সুবাস ঘিসিং বামেদের প্রকাশ্যে বিরোধিতা শুরু করেছিলেন। এবং সুবাস ঘিসিংয়ের নেতৃত্বেই পাহাড়ে গোর্খ্যাল্যান্ডের আন্দোলন জেগে উঠেছিল। কিন্তু এবার পাহাড়ে এই গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সামিল হয়েছে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক, তারা সুনদাস, প্রকাশ গুরুং, সঞ্জয় থুলুং, অঞ্জলি শর্মা ভুজেল সহ একাধিক সিপিএম নেতা।