উত্তরবঙ্গে এক ‘শুভেন্দু অধিকারী’র খোঁজ মিলেছে, অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকে রেহাই নেই তৃণমূলেরও
উত্তরবঙ্গেও এক ‘শুভেন্দু অধিকারী’র খোঁজ পেয়েছে তৃণমূল। দলের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমনই তোপ দাগলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। সরাসরি নাম করেই তিনি তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
উত্তরবঙ্গেও এক 'শুভেন্দু অধিকারী'র খোঁজ পেয়েছে তৃণমূল। দলের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমনই তোপ দাগলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। সরাসরি নাম করেই তিনি তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। পাল্টা ব্লক সভাপতিকেও নিশানা করতে ছাড়লেন না তিনি। ফের প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। শুধু বিজেপিই নয়, বাংলার শাসকদল তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার।
একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তৃণমূলের বিরুদ্ধাচারণ করে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন দলের একটা বড় অংশকে। কিন্তু তাতে সে অর্থে কোনও লাভ হয়নি। বিরাট ভাঙন সামাল দিয়েও তৃণমূল বড় জয় উপহার দিয়েছে বাংলাকে। বাংলায় তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
এবার একুশের ভোটে বিপুল জয়ের পরও রাজ্যে দেখা দিল শাসক দলের কোন্দল। এবার উত্তরবঙ্গে এক মন্ত্রীকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তুলনা করে বসলেন দলেরই ব্লক সভাপতি। এলাকায় পোস্টার দিয়ে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও সেচ প্রতিমন্ত্রীকে উত্তরবঙ্গের শুভেন্দু অধিকারী বলে কটাক্ষ করলেন ব্লক সভাপতি। ব্লক সভাপতি সুধীর দাস বলেন, মোথাবাড়ি বিধায়ক মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে উত্তরবঙ্গের শুভেন্দু অধিকারী বলে সম্ভাষণ করলেন পোস্টারে।
আর মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে ব্লক সভাপতিকে বললেন দুর্নীতিগ্রস্ত। তৃণমূলে বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতি দ্বন্দ্ব সামনে চলে এল। বিধায়ক তথা মন্ত্রীর সঙ্গে ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব মোথাবাড়ি সরগরম হয়ে উঠল। একেবারে পোস্টার লিখে দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন ব্লক সভাপতি। মঙ্গলবার কালিয়াচক দু-নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সুধীর বলেন, আগামী দিনে সাবিনা উত্তরবঙ্গের শুভেন্দু অধিকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন।
কিন্তু কেন দলের ব্লক সভাপতি এমন আখ্যা দিলেন তৃণমূল সরকারের ওই মন্ত্রীকে। ব্লক সভাপতি সুধীর দাস বলেন, আগামী দিনে ওই মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী হবেন এই কারণেই যে, টাকা ছাড়া ওই মন্ত্রী কোনও কাজ করেন না। এ ব্যাপারে জেলা সভাপতি রহিম বক্সির কাছে বারবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
ব্লক সভপাতির অভিযোগ, জেলা সভাপতি মন্ত্রীর হাতের পুতুল হয়ে কাজ করেন। তাই মালদহকে বাঁচাতে এবং মালদহে তৃণমূলকে বাঁচাতে জেলা সভাপতিরও অপসারণ দরকার বলে মন্তব্য করলেন তিনি। ব্লক সভাপতির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ওই অভিযোগ। সম্প্রতি ওই ব্লক সভাপাতিকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি পদ বাঁচাতে আবোল তাবোল বলছেন বলে পাল্টা দিয়েছেন সাবিনা। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এক টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ইস্তফা দেব। জেলা সভাপতিও বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা, ৩০ এপ্রিল তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় এই বিষয়ে আলোচনা হবে।