বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করলে দাঁত তুলে নেওয়ার হুমকি, মিলে গেল পার্থপ্রতিম-উদয়নের সুর
কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। সুযোগ মেলেই কু-কথায় পঞ্চমুখ তৃণমূল বা বিজেপি-উভয় দলের নেতারাই। কোচবিহার তৃণমূলের দুই বড় নেতার মুখেও তেমনি উঠে এল হুমকির সুর।
কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। সুযোগ মেলেই কু-কথায় পঞ্চমুখ তৃণমূল বা বিজেপি-উভয় দলের নেতারাই। কোচবিহার তৃণমূলের দুই বড় নেতার মুখেও তেমনি উঠে এল হুমকির সুর। বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করলে দাঁত তুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন কোচবিহার তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। পার্থর সুরেই সুর মেলালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী।
একেবারে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সাঁড়াশি দিয়ে বিরোধীদের দাঁত তুলে নেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তারপর উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহও একই আওয়াজ তুললেন। সন্ত্রাসের রাজনীতি করলে, বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করলে সাঁড়াশি দিয়ে দাঁত তুলে নেওয়া হবে, সাফ কথা জানালেন পার্থ প্রতিম রায় ও উদয়ন গুহও।
কোচবিহার জেলার দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গড়ে বিজয় সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই হুংকার ছাড়েন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ প্রতিম রায়। তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলানিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি নিশানা করেন বিরোধীদের। বিশেষ করে বিজেপিকে একহাত নেন তিনি।
পার্থপ্রতিম রায় বলেন, যদি বোমা বা বন্দুক নিয়ে সন্ত্রাস করতে আসে বিরোধীরা, তাহলে তাদের ছেড়ে কথা বলব না, কাউকে ছাড়া দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসের রাজনীতি করতে এলে প্রয়োজনে তাদের দাঁত উপড়ে ফেলা হবে। মঞ্চে উপস্থিত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী উদয়ন গুহর সামনেই পার্তপ্রতিম রায় এই মন্তব্য করেন। তাঁর মন্তব্যে রীতিমতো সরগরম হয়ে যায় কোচবিহারের রাজনীতি।
তবে শুধু পার্থপ্রতিম রায়ই নন, পার্থপ্রতিমের সুরে সুর মেলান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহও। তিনিও সমর্থন করেন পার্থপ্রতিমকে। বলেন, সন্ত্রাসের রাজনীতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পার্থ ঠিক কথাই বলেছেন, বোমা-বন্দুক নিয়ে রাজনীতি করলে, বিরোধীদের দাঁত তুলে নেওয়াই উচিত।
দিন কয়েক আগে উদন গুহর গলায় একইরকম হুঙ্কার শোনা গিয়েছিল। দিনহাটায় দাঁড়িয়ে সেউই সময় তিনি বলেন, যে আমার গলায় পা দিয়ে দাঁড়াতে চায়, তার হাঁটু ভাঙার অধিকার আমার আছে। আমার সহকর্মীর বুকে পা তুলতে চাইলেও আমার অধিকার আছে তাদের হাঁটু ভাঙুর। যদি আমরা সেটা না করতে পারি, তাহলে বুঝতে হবে, বিজেপির সঙ্গে আমাদের তলে তলে লাইন আছে। সেই জন্য সবাইকে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর এই সমস্ত মন্তব্যকে উসকানিমূলক বলে দাবি করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।