১২ দিনের লড়াই শেষ, জীবন যুদ্ধে থামতে হল ময়নাগুড়ির নির্যাতিতাকে
১২ দিনের লড়াই শেষ, জীবন যুদ্ধে থামতে হল ময়নাগুড়ির নির্যাতিতাকে
মারা গেল ময়নাগুড়ির নির্যাতিতা নাবালিকা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে টানা ১২ দিন লড়াই করে আজ সোমবার ভোর ৫ টা নাগাদ মারা যায় সে। তাঁর বাবা নিশ্চিত করেছেন মেয়ের মৃত্যু খবর। গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়েরর পরে অভিযুক্ত আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়। পরিবারকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য ভয় দেখানো হয়েছিল। তারপরেই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল নাবালিকা।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিল ময়নাগুড়ির নির্যাতিতা নাবালিকা।সোমবার ভোর ৫টায় মারা যায় সে। মেয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি সিবিআইয়ের হাতে মেয়ের দেহ তুলে দিেত চান বলে জানিয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেরাচ্ছে গোটা পরিবারকে। সেদিন বাড়িতে একাই ছিল নির্যাতিতা। সেসময় এক যুবক বাড়িতে ঢুকে তাকে সঙ্গে পাশবিক আচরণ শুরু করে। নাবালিকার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পরিস্থিতি ভাল নয় আঁচ করেই সেখান থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত যুবক।
নাবালিকার পরিবার এই নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান। অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত যুবক স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ভাই হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে জামিন পেয়ে যায় সে। তারপরে গত ১৩ এপ্রিল নির্যাতিতার বাড়িেত ঢুকে একদল যুবক তাঁদের পরিবারকে হুমকি দেয়। অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে বলে। অভিযোগ তুলে না নেওয়া হলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা। তার পরের দিনই ১৪ এপ্রিল গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে নাবালিকা। প্রথমে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তারপরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চলছিল তাঁর চিকিৎসা। গত ১২ দিন ধরে টানা লড়াই চলেছে। কিন্তু অবস্থা ফেরানো যায়নি। শেষে জীবন যুদ্ধে হার স্বীকার করতে হয়েছে নির্যাতিতাকে। সোমবার ভোরেই মারা যান তিনি।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে এই নিয়ে তুমুল রাজনৈতিত চাপান উতোর শুরু হয়েছিল। বিজেপির প্রতিনিধি দল ময়নাগুড়িতে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এই ঘটনায় শাসক দলের নেতার নাম জড়িয়ে থাকায় বিজেপি আরও তৎপর হয়েছিল। ময়নাগুড়ি ছাড়াও গত কয়েকদিনে রাজ্যে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে হাঁসখালি ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। বাকি ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের ভার দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে কমিটিকে দেওয়া হয়েছে।