'মোরগ দাদু'র সারিঞ্জা আর ভুলতে বসা 'টোটো' ভাষা, জলপাইগুড়িকে দিল জোড়া 'পদ্মশ্রী'
বাংলা থেকে একাধিক ব্যক্তিত্ব এবার পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন। তাঁরা কারা? রইল বিস্তারিত
বিশিষ্ট সারিঞ্জা বাদক বঙ্গরত্ন মঙ্গলাকান্ত রায় এবার পদ্মশ্রী পুরষ্কারে সম্মানিত হলেন। করিমুল হকের পর এবার মঙ্গলাকান্তের এই পুরষ্কার প্রাপ্তিতে খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে। প্রবীণ এই শিল্পীর বাড়ি জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধওলাগুড়ি গ্রামে। বিশেষত সারিন্দায় বিভিন্ন পশু পাখির আওয়াজ বের করে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মঙ্গলাবাবু। এবার তাঁকে পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করতে চলেছে সরকার।
পশু পাখির সুর তাঁর সারিঞ্জায় যেনো জীবন্ত হয়
মঙ্গলাকান্ত
রায়ের
হাতে
যেনো
জাদু
রয়েছে।
নানা
ধরনের
পশু
পাখির
সুর
তাঁর
সারিঞ্জায়
যেনো
জীবন্ত
হয়ে
ওঠে।
বয়সের
ভারাক্রান্তে
প্রবীণ
হলেও
সারিন্দাকে
আগলে
রেখেই
অতিবাহিত
করছেন
জীবন।
আর
সারিন্দার
সুবাদেই
তিনি
আজ
বিখ্যাত।
তিনি
আজ
উত্তরবঙ্গের
মোরগ
দাদু
নামে
সকলের
পরিচিত।
যখন
মংলা
বাবুর
বয়স
প্রায়
নব্বই
পেরিয়েছিল
সে
সময়
তিনি
ডাক
পান
দিল্লির
প্রগতি
মঞ্চে
অনুষ্ঠান
করার
জন্য।
সেখানে
তিনি
পশু
পাখির
ডাক
শুনিয়ে
নিজের
দর্শকদের
মন
জয়
করে
নিয়েছেন।
সম্মানিত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও
তবে ২০১৭ সালে দার্জিলিংয়ের অনুষ্ঠিত এক সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে জীবনের সবচেয়ে সেরা উপহার গ্রহণ করেন । মুখ্যমন্ত্রী মমতা তাঁকে বঙ্গসম্মানে ভূষিত করেন। এই সম্মানের পর তার মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হতে চলেছে। পেতে চলেছেন ভারত সরকারের পদ্মশ্রী সম্মান।
মাটির মানুষ ধনিরাম!
অন্যদিকে টোটো হরফ ও অক্ষর তৈরির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্যে এবছর পদ্মশ্রী পুরষ্কার পাচ্ছেন মাদারিহাট ব্লকের টোটোপাড়া বাসিন্দা টোটো সাহিত্যিক ধনিরাম টোটো। একেবারে একজন মাটির মানুষ ধনিরাম! মনে মনে স্বপ্নের জাল বুনতেন যে,যদি পৃথিবীর সব জনজাতির পৃথক অক্ষর ও ভাষা থাকতে পারে, টোটোরা কেনো বঞ্চিত হবে? চেয়েছিলেন নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে। তিনি শেষ পর্যন্ত তা করে দেখিয়েছেন। তিনি ৩৭ শব্দের অক্ষর রাশি তৈরি করেছেন ।সঙ্গে টোটো সাহিত্যে প্রচুর কবিতা, উপন্যাশ ও রম্যরচনা সৃষ্টি করে টোটো সমাজে নিজেকে খানিক অন্য উপমায় নিজেকে প্রতিস্থাপন করেছেন আত্মভোলা গোছের মানুষটি।
বাংলা থেকে আরও কারা পেলেন এই সম্মান
এছাড়াও বাংলা থেকে পদ্মশ্রী পাচ্ছেন প্রীতিকনা গোস্বামী। যিনি শিল্পে অনবদ্য সৃষ্টির জন্যে এই সম্মান পাচ্ছেন। এছাড়াও বাংলা থেকে প্রাক্তন ডক্টর Dilip Mahalanabis-কে মরণোত্তর পদ্মবিভূষণে ভূষিত করছে সরকার। আরএস চিকিৎসা ক্ষেত্রে বহুল প্রচলতি সেই ORS -এর উদ্ভাবন করেছিলেন ডক্টর Dilip Mahalanabis। গত বছর প্রয়াণ হলেও সারা জীবন প্রচারের আড়ালেই থেকে গেছেন দিলীপ মহালনবীশ। এবার তাঁকেই এই সম্মানে সম্মানিত করা হচ্ছে।