জলপাইগুড়িতে বাড়ছে শিশু মৃত্যু, অজানা জ্বরে আক্রান্ত ৫০০-র বেশি, কী বলছেন চিকিৎসকরা
জলপাইগুড়িতে বাড়ছে শিশু মৃত্যু, অজানা জ্বরে আক্রান্ত ৫০০-র বেশি, কী বলছেন চিকিৎসকরা
অজানা জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়িতে ৫০০ জন শিশু এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ২৫০ শিশু। কলকাতা শহরেও একাধিক হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের মেডিকেল টিম ঘুরে এসেছেন জলপাইগুড়ি থেেক। তাঁরা জানিয়েছেন করোনা, ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া নয়। এই জ্বর ছড়াচ্ছে ফুসফুসে এক ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণে। সেটা সংক্রামক বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমন করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জলপাইগুড়িতে অজানা জ্বর
জলপাইগুড়িতে বাড়ছে অজানা জ্বরের প্রকোপ। হাসপাতালে প্রায় ২৫০-র বেশি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে জ্বর নিয়ে। এছাড়া ৫০০ শিশু জ্বরে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। শহর কলকাতাতেও একাধিক হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। ধুম জ্বর তার সঙ্গে সর্দি-কাশি। ডায়রিয়া, কারোর কারোর আবার শ্বাসকষ্টও দেখা দিচ্ছে। প্রথমে অনেকেই করোনা বলে আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন করোনা বা ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া নয় এই জ্বর। এটা ভাইরাল ফিবার। ফুসফুসে একধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে ছড়াচ্ছে এই জ্বর।
৩ শিশুর মৃত্যু
জলপাইগুড়ি হাসপাতালে শিশু মৃত্যু বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ৩ শিশু মারা গিেয়ছে এই অজানা জ্বরে। জলপাইগুড়ার পাশাপাশি শিলিগুড়ি এবং কোচবিহারেও আক্রান্ত হতে শুরু করেছে শিশুরা। আলিপুর দুয়ারেও বেশ কিছু শিশু এই ভাইরাল ফিবারে আক্রান্ত হয়েছে। গতকালই জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পরিদর্শন করেছে বিশেষজ্ঞ দল। তারা সেখানে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। তাঁরাই জানিয়েছেন করোনা বাডেঙ্গি নয় ভাইরাল ফিবারে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। আজ এই নিয়ে কলকাতায় বিশেষ বৈঠকে বসবে কমিটির সদস্যরা। পর্যালোচনার পর তাঁরা রিপোর্ট দেবেন স্বাস্থ্য দফতরে।
কেন বাড়ছে জ্বর
হঠাৎ করে শিশুদের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কেন বাড়ছে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।চিকিৎসকরা প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন করোনার কারণে গত ২ বছরে শিশুদের টিকাকরণ অনিয়মিত হয়েছে। তার জেরে তাঁদের শরীরে অনেক রোগের টিকাই দেওয়া যায়নি। সেকারণেই এই ভাইরাস থাবা বসাতে শুরু করেছে। তবে এই রোগের সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা। শিশুদের এই সময়ে জ্বর হলেই বাড়িতে ফেলে না রেখে হাসপাতালে বা চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
করোনার থার্ড ওয়েভের আশঙ্কা
এই ভাইরাল ফিবারের হাত ধরেই কি দেশে করোনা ভাইরাসের থার্ড ওয়েভ শুরু হয়ে যাবে এই নিেয় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। যদিও এই ভাইরাল ফিবার করোনা নয়। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় গোটা দেশে ভাইরাল ফিবার থাবা বসিয়েছে। উত্তর প্রদেশ, বিহারেও ভাইরাল ফিবারে আক্রান্ত হয়ে একাধিক শিশু হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে আবার ডেঙ্গির সংক্রমণও বাড়ছে।