নওদাকাণ্ডে ব্লক সভাপতি সহ ১০ নেতার নামে FIR, সুর বদলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে CID তদন্ত দাবি নিহত নেতার স্ত্রীর
নওদাকাণ্ডে ব্লক সভাপতি সহ ১০ নেতার নামে FIR, সুর বদলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে CID তদন্ত দাবি নিহত নেতার স্ত্রীর
মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ১০ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতির নামও রয়েছে। এদিকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সুর বদল করে ফেলেছেন তাঁর স্ত্রী। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
১০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর
নদিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মতিরুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে তৃণমূলেরই নেতারা। পরিকল্পিত ভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। ঘটনা ১২ ঘণ্টা পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এবার এই ঘটনায় তৃণমূল ব্লক সভাপতি সহ ১০ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্যেরও।
সিআইডি তদন্তের দাবি
সকালে নদিয়ার নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার স্ত্রী দাবি করেছিলেন সিবিআই তদন্ত চাই। রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তার কয়েক ঘম্টার মধ্যে আবার সুর বদলে ফেলেছেন তিনি। এবার রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা রয়েছে দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঘটনার সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মতিউল ইসলামের স্ত্রী আবার নদিয়ার নারায়ণপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রধান। অর্থাৎ তিনিও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।
গোষ্ঠিদ্বন্দ্বের শিকার
মতিউল ইসলামকে খুনের নেপথ্যে নদিয়ার ব্লক সভাপতি জড়িত বলে বারবার দাবি করেছে তাঁর পবিরারে লোকেরা। এবং প্রকাশ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই তিনি খুন হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাঁরা। সেকারণে পরিবারের তরফে করা এফআইআরে নওতা তৃণমূল ব্লক সভাপতি সফিউজ্জমান শেষ এবং নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিকের নাম উল্লেখ করেছেন তাঁরা। এছাড়াও ১০ জন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম রয়েছে এফআইআরে।
পরিকল্পনা করে গুলি করে খুন
গতকাল রাতে নদিয়ার নারায়ণপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মতিউল ইসলামকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতিরা। গতকাল নওদায় বেসরকারি স্কুলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মতিউল। ফিরছিলেন বাইকে করে। সেখানেই তাঁর পথ আটকায় একদল দুষ্কতি। প্রথমে তাঁরা বোমা মারে মতিরুলকে লক্ষ্য করে তিনি গাড়ি থেকে পড়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে এলোপাথারি গুলি করে তারা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয়।