বিজেপি সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা, অভিযোগের তির ধেয়ে এল তৃণমূলের দিকে
এবার আক্রান্ত হলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। বিজেপির দাবি, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
এবার আক্রান্ত হলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। বিজেপির দাবি, অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর গাড়ির ঠিক পিছনেই বোমাটি পড়ে বলে জানানো হয়েছে। হরিণঘাটার শিমূলতলায় এই ঘটনা ঘটে।
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার কল্যাণী থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর গাড়ির উপর হামলা হয় হরিণঘাটায়। এক দল দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বলে জানা গিয়েছে। বোমাটি তাঁর গাড়ির ঠিক পিছনেই পড়ে। গাড়ির গতি বেশি ছিল বলে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে বলে দাবি।
এই ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সাংসদকে হরিণঘাটার মোহনপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। কারা এই হামলার ঘটনায় জড়িতে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সাংসদ অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে। হরিণঘাটার শিমূলতলায় যেখানে ঘটনাটি ঘটে, সেখানে অন্ধকার ছিল। তাই ওই অন্ধকার রাস্তায় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়।
বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এই হামলা। আমার কর্মসূচির ব্যাপারে সম্পূর্ণ অবহিত হয়েই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর আগেও একাধিকবার তাঁর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এদিনও পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছে। এরপরই বিজেপি কর্মীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে।
বিজেপির তরফ থেকে এই ঘটনায় তির ছোড়া হয় তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল এই হামলার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূল জানিয়েছে, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। নিজেরাই এসব সৃষ্টি করছে। এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, স্বল্পের জন্য আমাদের সাংসদ রক্ষা পেয়েছেন। একজন সাংসদের সঙ্গে যদি এমন ঘটনা ঘটে, তবে সাধারণ বিজেপি কর্মীদের উপর কী ঘটবে, তা কল্পনা করাই যায়।
তৃণমূল নেত্রী রত্না ঘোষ কর এই অভিযোগ শুনে বলেন, কথাটা শুনে হাসিও পাচ্ছে। উনি যে ধরনের অভিযোগ করছেন, তা সর্বেব মিথ্যা। সম্পূর্ণ সাজানো ঘটনা। হরিণঘাটা এলাকা খুভই শান্তিপ্রিয়। সেখানে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। তাই মিথ্যা অভিযোগ করছেন। নিজেরা হালে পানি না পেয়ে ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা। মানুষ ওদের জবাব দিয়েছেন, যত নাটক করবেন, ততই ওরা সরে যাবেন মানুষ কাছ থেকে।