
অস্বস্তি বাড়িয়ে পদত্যাগ ১০ বিজেপি নেতার! দলীয় শৃঙ্খলাই আগে, বলছেন সুকান্ত
বিজেপিতে বিদ্রোহ! আর তা ক্রমশ চরমে উঠছে। আসানসোল এবং বালিগঞ্জে বিজেপির ভরাডুবি ঘটেছে। আর তা হওয়ার পরেই কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র। সরাসরি নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলেছেন। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। আর এই অস্বস্তি'র মধ্যেই প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল।

জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ তুললেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ। এমনকি রাজ্য কমিটি থেকেও পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন। আর এই অবস্থার মধ্যেই বিদ্রোহী নদিয়া সাংগঠনিক জেলার একাধিক বিজেপি নেতা।
শুধু বিদ্রোহী হওয়া নয়, ইতিমধ্যে সে জেলার ১০ শীর্ষ বিজেপি নেতা তাঁদের পদত্যাগ পত্র ইতিমধ্যে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেই খবর। এক সঙ্গে ১০ বিজেপি নেতার পদত্যাগ বঙ্গ বিজেপিতে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতার দাবি, বিজেপি একটা সাংগঠনিক দল। এর আগেও বহু মানুষ বিজেপি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতার। শুধু তাই নয়, দলে ক্রমশ বিদ্রোহ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
তাঁর দাবি, দলীয় শৃঙ্খলা সবার আগে। অভিযোগ থাকলে দলীয় নেতৃত্বকে অভিযোগ জানানোর বার্তাও দিয়েছেন বিজেপি'র রাজ্য সভাপতি।
তবে নদিয়ার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি একটা সাম্প্রদায়িক দল। সেখানে কেউ থাকতে পারবে না। এটাই প্রমাণ। আগামিদিনে বিজেপি বাংলায় শূন্যে পাবে বলেও দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
কিন্তু কেন বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত? জানা গিয়েছে, জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভই এর কারন। বিজেপিত্যাগী নেতাদের দাবি, কোনও আলোচনা ছাড়াই একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেন জেলা সভাপতি। যার প্রভাব নির্বাচনের ফলাফলে পড়ছে। এমনকি সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। সেখানেও জেলা সভাপতি কোনও আলোচনা করবেন না বলেই ধরে নিচ্ছেন দলত্যাগী বিজেপি নেতারা। আর সেই কারণেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।
এদিন যে ১০ জন সুর চড়িয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন সাধারণ সম্পাদক এবং তিনজন সম্পাদক ও চারজন সহ-সভাপতি। তাঁরা সবাই তাঁদের পদত্যাগ পত্র নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলেই খবর। বলে রাখা প্রয়োজন, বিজেপি বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষও আজ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েই রাজ্য কমিটি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন। একদিকে একের পর এক ভোটে ধাক্কা অন্যদিকে দলে বিদ্রোহ! শুভেন্দু-সুকান্ত'র কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।