ধ্যানচাঁদের জম্মবার্ষিকি, হকির জাদুকর সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন
হকির জাদুকর ধ্যান চাঁদের জন্মবার্ষিকি পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে। ধ্যান চাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
হকির জাদুকর ধ্যান চাঁদের জন্মবার্ষিকি পালিত হচ্ছে দেশজুড়ে। ধ্যান চাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। এই শুভ দিনে ভারতীয় হকি লেজেন্ড সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
১) ১৯০৫ সালের ২৯ অগাস্ট উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে (এলাহাবাদ) জন্ম ধ্য়ান চাঁদের।
২) ইংরেজদের অধীনস্ত ভারতীয় হকি দলের হয়ে ১৯২৮, ১৯৩২ ও ১৯৩৬ অলিম্পিক খেলেন। প্রতিবারই দেশকে সোনা এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ধ্যান চাঁদ।
৩) ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার হয়ে ১৮৫টি ম্যাচে ৫৭০টি গোল করেছেন ধ্যান চাঁদ।
৪) ১৯২২ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন হকির জাদুকর। সকালে সময় পেতেন না। তাই রাতে হকির অনুশীলনে মগ্ন থাকতেন ধ্যান চাঁদ। তিনি পাঞ্জাব রেজিমেন্টের মেজর পদে উন্নিত হয়েছিলেন।
৫) ১৯২৮-র অ্যামস্টারডাম অলিম্পিকে ভারতীয় দলের জার্সিতে ১৪টি গোল করেন ধ্যান চাঁদ।
৬) ১৯৩২-র লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের একটি ম্যাচে আমেরিকারে ২৪-১ গোলে হারিয়েছিল ভারতীয় হকি দল। সেই রেকর্ড ২০০৩ সাল পর্যন্ত অটুঁট ছিল। ওই ম্যাচে ৮ গোল করেছিলেন ধ্যান চাঁদ। তাঁর ভাই রূপ সিং-র হকি স্টিক থেকে এসেছিল ১০ গোল। ওই টুর্নামেন্টে ৩৫ গোল করেছিল ভারত। তার মধ্যে চাঁদ ও তাঁর ভাই-র মিলিত গোল সংখ্যা ছিল ২৫।
৭) ১৯৩৪-র ডিসেম্বরের নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য ভারতীয় হকি দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন ধ্য়ান চাঁদ। ওই সফরে ৪৮টি ম্যাচ খেলেছিল ভারত। ২৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন ধ্যান চাঁদ। ২০১টি গোল করেছিলেন তিনি।
৮) ১৯৪৮ সালে রেস্ট অফ ইন্ডিয়ার হয়ে বাংলার বিরুদ্ধে জীবনের শেষ হকি ম্যাচ খেলেছিলেন ধ্যান চাঁদ। আট বছর পর ৫১ বছর বয়সে ভারতীয় সেনা থেকে অবসর নিয়েছিলেন হকির জাদুকর।
৯) ধ্যান চাঁদের আত্মজীবনী 'গোল' ১৯৫২ সালে প্রকাশ হয়। ১৯৫৬ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়। খেলা ছাড়ার পর পাতিয়ালার ন্যাশনাল স্পোর্টস ইনস্টিটিউটে হকির কোচিং করান ধ্যান চাঁদ।
লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জীবনের শেষ দিনগুলি উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে কাটান হকির জাদুকর। ১৯৭৯-র ৩ ডিসেম্বর দিল্লির এইমস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ধ্যানচাঁদ।