
থমাস কাপ ও উবের কাপের ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলের সঙ্গে সময় কাটালেন প্রধানমন্ত্রী, লক্ষ্য সেনের উপহার কোন মিষ্টি?
ডেফলিম্পিক্সে পদকজয়ী-সহ অ্যাথলিটদের সঙ্গে সময় কাটানোর পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিলিত হলেন ভারতীয় শাটলারদের সঙ্গে। থমাস কাপে এ বছরই প্রথম সোনা জিতেছে ভারত। সোনাজয়ী দলের সদস্যদের সঙ্গেই উবের কাপে অংশ নেওয়া ভারতীয় মহিলা শাটলারদের সঙ্গে আজ সকালে দেখা করে তাঁদের উৎসাহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ-বার্তা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটে সেই সাক্ষাৎ-পর্বের ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিলাম। থমাস কাপ ও উবের কাপে তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন শাটলাররা। খেলার বিভিন্ন দিকে তাঁরা আলোকপাত করেছেন। ব্যাডমিন্টনের বাইরেও তাঁদের দিনযাপনের নানা কথা জানতে পারলাম। তাঁদের কৃতিত্বে গোটা দেশ গর্বিত। শাটলারদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাঁদের কৃতিত্ব অত্যন্ত বড় ব্যাপার। ভারতীয় দল থমাস কাপ জেতার পর ব্যাঙ্ককে ফোন করে শাটলারদের অভিনন্দন জানিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জাপান সফরে রওনা হওয়ার আগে তিনি আজ দেখা করলেন তাঁদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের হয়ে পুরো দলকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই সাফল্য মোটেই ছোট ব্যাপার নয়। আপনারা এটা সম্ভব করে দেখিয়েছেন। এই সাফল্যের গুরুত্ব এই কারণেই রয়েছে যে, একটা সময় এই ধরনের প্রতিযোগিতায় আমরা অনেক পিছিয়ে থাকতাম। ইন্দোনেশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশকে হারিয়ে ভারত এবার থমাস কাপ জিতেছে। মোদীর কথায়, কয়েক দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এই প্রতিযোগিতার আসরে ভারতের জাতীয় পতাকা উড়েছে, এটা এক অসাধারণ কীর্তি!

শ্রীকান্তের কথা
আগে এই ধরনের প্রতিযোগিতা নিয়ে অনেক মানুষের তেমন আগ্রহ দেখা না গেলেও থমাস কাপ জয় তাঁদের ব্যাডমিন্টনের প্রতি আকৃষ্ট করবে বলে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরাও পারি- এই বিশ্বাস গোটা দেশের শক্তি আরও বাড়ানোর পক্ষে সহায়ক হয়েছে। আমাদের সরকার খেলোয়াড়দের সবরকমের সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত। কিদাম্বি শ্রীকান্ত যেভাবে সিনিয়র প্লেয়ার হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে গোটা দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সাফল্য নিশ্চিত করেছেন তাতে তাঁরও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রীকান্ত বলেন, আমরা সকলেই গর্বিত যে জেতার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা আপনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। বিশ্বের আর কোনও দেশের অ্যাথলিটদের এমন সৌভাগ্য হয় না বলে আমি নিশ্চিত। এ জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
|
নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত
ভারতের ব্যাডমিন্টন দলের চিফ কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সকল ক্রীড়াবিদদের দিতে নজর রাখেন, তাঁদের খেলা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন। খেলোয়াড়দের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাভাবনা, আত্মিক যোগের কথাও উঠে আসে গোপীর কথায়। ভারতের ডাবলস কোচ মাতিয়াস বো বলেন, আমিও আমার দেশের হয়ে খেলোয়াড় হিসেবে পদক জিতেছি, তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে আমন্ত্রণ জানান বা উৎসাহিত করেন তেমন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হইনি। ভারতের ডাবলস বিশষজ্ঞ সাত্বিকসাইরাজ রাঙ্কিরেড্ডি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, আমরা সকলেই রাতে পদক কাছে রেখে ঘুমিয়েছিলাম।

লক্ষ্য দিলেন মিষ্টি
প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলমোড়ার বিখ্যাত মিষ্টি, 'বল মিঠাই' নিয়ে গিয়েছিলেন লক্ষ্য সেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই মিষ্টি খেতে চেয়েছিলেন বলে তাঁর জন্য এদিন তা নিয়ে এসেছি। এটা দেখে খুবই ভালো লাগে যে, প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের সম্পর্কে অত্যন্ত ছোট ছোট বিষয় নিয়েও অত্যন্ত আগ্রহী, সেগুলি মনেও রাখেন। প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য বলেন, আপনি যখনই আমাদের সঙ্গে কথা বলেন আমরা উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত হই। আশা করি, দেশের হয়ে আরও পদক জিততে পারব। আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাব এবং এই মিষ্টি আপনার জন্য ভবিষ্যতেও নিয়ে আসতে পারব। হরিয়ানা থেকে এত ক্রীড়াবিদ উঠে আসছেন দেখে প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, হরিয়ানার মাটিতে এমন কী আছে? উন্নতি হুডা বলেন, যেটা সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে তা হলো আপনি পদকজয়ীদের সঙ্গে যাঁরা পদক জিততে পারেননি তাঁদের সমান দৃষ্টিতেই দেখেন।