জাতীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন ২২ বছরের অক্ষতা
জাতীয় ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন ২২ বছরের অক্ষতা
মনের জেদ এবং লক্ষ্যে পৌঁছনোর তাগিদ নিয়ে ছুটে চলা মানুষদের কাছে কোনও প্রতিকূলতাই যে কিছু নয়, তা ফের এক বার প্রমাণ হল, এই প্রচীন সত্য আরও এক বার প্রমাণ করে দেখালেন ২২ বছর বয়সী অক্ষতা বসন্ত কামাতি। বেলাগভি তালুকের একটি ছোট গ্রাম হালাগা থেকে উঠে আসা এই মেয়েটিকে জাতীয় স্তরে দুরন্ত পারফর্ম করার নেপথ্যে তাঁর ইচ্ছা প্রবল মনোবল ছাড়াও সাহায্য করেছে পরিবারের সাপোর্ট।
তামিলনাড়ুর নাগেরকোয়েলে জাতীয় ভরোত্তোলন প্রতিযোগিতায় ৮৭ কেজি বিভাগে স্ন্যাচ এবং ক্রিন অ্যান্ড জার্ক বিভাগে সোনা জেতেন তিনি। পুনেতে আয়োজিত খেলো ইন্ডিয়ায় ৭৬ কেজি বিভাগে ১৭৬ কেজি তুলে রেকর্ড গড়েন তিনি। এর আগে বিহারের বুদ্ধ গয়ায় ৩২তম মহিলা জুনিয়র জাতীয় ওয়েটলিফ্টিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৮১ কেজি বিভাগে সোনা জেতেন তিনি।
অক্ষতার দাদা আকাশ কামাতি জানান, হালাগার সারদা গার্লস হাই স্কুলে অক্সতা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁদের স্কুলে ভরোত্তোলনের জন্য বিশেষ কোচিং ক্লাস শুরু হয় এবং অক্ষতাকে মুগ্ধ করে এই ভারোত্তোলন। শুরু দিকে গ্রামের কিছু জন অক্ষতার পরিবারকে জানিয়েছিলেন যে এই ভরোত্তোলন খেলাটা মেয়েদের জন্য নয়। দ্রুতই ওদের ভুল প্রমাণ করে দেন অক্ষতা। তিনি যখন দশম শ্রেণিতে পড়তেন তখন জাতীয় স্তরের প্রতিযোগীতায় সোনা জেতেন। শুধু পরিবারই নয়, অক্ষতার এই সাফল্যে অত্যন্ত গর্বিত হয়েছিলেন গ্রামবাসীরাও, জানিয়েছেন তাঁর দাদা।
অক্ষতার বাবা বসন্ত কামাতি জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের ১০ বিঘা জমি রয়েছে যা তিন ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া রয়েছে। সরকার অক্ষতার খাওয়া, থাকা এবং কোচিং-এর খরচ, অন্যান্য খরচ বহন করে। অক্ষতার খাওয়ার মধ্যে যে স্পেশ্যাল ডায়েট, প্রোটিন রয়েছে সেইগুলিও পডে। এই সব মিলিয়ে মোটামুসি মাসিক ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়।
সিবিআইয়ের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন আদালতের, প্রাক্তন ব্যাঙ্কার চন্দা কোছারকে মুক্তির বার্তা