হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে শেষ হাসি হাসবে কে? শুভেন্দু নাকি মমতা...গোটা দেশের নজর যে কেন্দ্রের উপর
হাই ভোল্টেজ নন্দীগ্রাম! গোটা দেশের নজর এই কেন্দ্রের দিকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি শুভেন্দু অধিকারীর ? কে হাসবেন শেষ হাসি। কার্যত বিজেপি এবং তৃণমূলের কাছে নন্দীগ্রাম প্রেস্টিজিয়াস ফাইট।
হাই ভোল্টেজ নন্দীগ্রাম! গোটা দেশের নজর এই কেন্দ্রের দিকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি শুভেন্দু অধিকারীর ? কে হাসবেন শেষ হাসি।
কার্যত বিজেপি এবং তৃণমূলের কাছে নন্দীগ্রাম প্রেস্টিজিয়াস ফাইট।
জুজুধান দুই পক্ষকেই সমানে টক্কর দিয়েছেন বাম ব্রিডেগের তরুণ মুখ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও। নন্দীগ্রামের প্রেস্টিজিয়াস ফাইটে শেষ পর্যন্ত কার প্রেস্টিজ থাকবে? আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা।
তার পরেই রাজ্যের অন্যান্য আসনের মতো ফল ঘোষণা নন্দীগ্রামেও।
ভোটের আগে বারবার শিশির অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে যে আগামিদিনে মেদিনীপুরই পথ দেখাবে বাংলাকে। অর্থাৎ এই নন্দীগ্রামই ঠিক করে দেবে কে হবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী!
সেই মতো প্রধান দুই মুখ মমতা ও শুভেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের অনেক কিছুই নির্ভর করছে। অন্তত এমনটাই বলছে রাজনৈতিকমহল।
ভোটের আগে বড় ফ্যাক্টার হয়ে ওঠে শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে সামনে রেখেই কার্যত বাংলায় ভোট বৈতরণী পাড় হতে চায় বিজেপি।
সেই মতো মেদিনীপুরে বিজেপির সভায় অমিত শাহর হাত থেকে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শুভেন্দু। তার পর থেকে মমতা-শুভেন্দুর সম্পর্কের ফাটল আরও চওড়া হয়।
যদিও একাধিক ইস্যুতে ধীরে ধীরে শুভেন্দুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তৃণমূলের। আর সেটাকেই কাজে লাগায় বিজেপি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে বারবার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। নিজেকে নন্দীগ্রামের লড়াইয়র কাণ্ডারি হিসাবে দাবি করেন।
পালটা ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে তেখালি মাঠের সভা থেকে দাঁড়িয়ে জবাব দেন মমতা।
শুধু তাই নয়, এরপরেই আচমকাই নন্দীগ্রামের আসনে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মমতা। তাঁর এই ঘোষণার পর বিজেপিরও ব্যাকফুটে যাওয়ার প্রশ্ন ছিল না। শুভেন্দুর ইচ্ছামতোই তাঁকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী করে বিজেপি। তারপর থেকে এই আসন কার্যত হাই প্রোফাইল আসনে পরিণত হয়।
হাই ভোল্টেজ লড়াই। ভোট ঘিরে উভয়পক্ষই ময়দানে নামে। নন্দীগ্রামে মমতার বাড়ি ভাড়া নেওয়া থেকে শুরু করে প্রচারে গিয়ে বিরুলিয়া বাজারে চোট একাধিক পর্ব কাটিয়ে ফলাফল।
এদিকে লড়াইয়ে রয়েছেন সংযুক্ত মোর্চার মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও। প্রচারে সাড়াও ফেলেন তিনি। যদিও জমি আন্দোলনের জেরে বাম সরকারের গায়ে যে রক্তের দাগ লাগে তা তিনি কতটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন তা জানা যাবে ইভিএম খোলার পর।
যদিও অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, নন্দীগ্রামে মমতা-শুভেন্দুর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ইন্ডিয়া টিভি-পিপলস পালস এক্সিট পোল অবশ্য বলছে, নন্দীগ্রামে বাজিমাত করতে চলেছেন শুভেন্দু। তবে শেষ হাসি কে হাসবে তা জানা যাবে আর কিছুক্ষণের মধ্যে। মানুষের রায় কোন দিকে তৃণমূল না বিজেপি! না এবার ভরসা মীনাক্ষী...
তবে রাজনৈতিক এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে ভিড় বাড়ছে গণনা কেন্দ্রে। হলদিয়াতে চলছে নন্দীগ্রামের গণনা। সেখানে বিজেপি এবং তৃণমূল দুপক্ষেরই কর্মী সমর্থকদের ভিড় বাড়ছে।