বিজেপিকে হোয়াইট ওয়াশ করাই লক্ষ্য শুভেন্দু-দিলীপের গড়ে, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কৌশলী তৃণমূল
বিজেপিকে হোয়াইট ওয়াশ করাই লক্ষ্য শুভেন্দু-দিলীপের গড়ে, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কৌশলী তৃণমূল
শুধু পঞ্চায়েত নয়, তৃণমূলের মূল লক্ষ্য কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা ভোট। তৃণমূল এখন থেকে প্রস্তুতি শুরু করেছে অবিভক্ত মেদিনীপুরে ৫-০ ব্যবধানে বিজেপিকে হারাতে। সেই লক্ষ্য নিয়ে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে নির্বাচন-পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। ৫ আসনের মধ্যে তৃণমূলের হাতে রয়েছে বর্তমানে তিনটি। এবার সেখালে বিজেপিকে হোয়াইট ওয়াশ করাই লক্ষ্য।
পূর্ব মেদিনীপুরের দুই কেন্দ্রের সাংসদেরই এখন তৃণমূলে বৈরাগ্য
দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে মোট পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। তৃণমূলের হাতে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি কেন্দ্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্য একটি এবং ঝাড়গ্রামের একটি কেন্দ্র বিজেপির দখলে। তবে তৃণমূলের হাতে পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি কেন্দ্র থাকলেও দুই কেন্দ্রের সাংসদেরই এখন তৃণমূলে বৈরাগ্য।
একাধারে লড়াই শুভেন্দুর সঙ্গে অন্যাদিকে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল চ্যালেঞ্জ নিয়েছে আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে অবিভক্ত মেদিনীপুরের পাঁচটি কেন্দ্রই দখল করার। আর এই মিশনে তৃণমূলের একাধারে লড়াই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অন্যাদিকে লড়াই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। শুভেন্দু অধিকারীর বাবা ও ভাই বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও তমলুকের সাংসদ। আর মেদিনীপুরের সাংসদ বর্তমানে দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূল ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে পুরো জেলার দখল চাইছে
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের বাড়বাড়ন্ত ২০০৭ সালের নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পর থেকে। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে ভালো ফল করতে শুরু করে তৃণমূল। পুরো জেলাটাই তৃণমূলের করায়ত্ত হয়। হালে শুভেন্দুর দলবদলের পর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তৃণমূল। তৃণমূল ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে পুরো জেলার দখল চাইছে। তাই প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে এখন থেকে।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামেও নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে তৃণমূল
পশ্চিম মেদিনীপুরের দুটি কেন্দ্রে তৃণমূল ভালো ফল করেছিল ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে। কিন্তু ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি মেদিনীপুর আসনটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেয়। ঘাটাল আসনটি তৃণমূল ধরে রাখতে সক্ষম হয়। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামও হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। তাদের এখন লক্ষ্য ঘাটাল আসনটি ধরে রেখে মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম আসনটি দখল করা। সেইমতো কৌশল তৈরি করছে তৃণমূল।
হারানো কেন্দ্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ভোট-ময়দানে নেমেছে তৃণমূল
২০২১-এর নির্বাচনে তৃণমূল ফিরে আসার স্বাক্ষর রেখেছে। নন্দীগ্রাম-সহ কয়েকটা আসনে হারলেও দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের রাশ তাদের হাতেই থেকেছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আদলে তৃণমূল লোকসভার অঙ্ক কষতে ব্যর্থ। ২০১৯-এ ৪২-এ ৪২ করার লক্ষ্যে জাল বিস্তার করেছিল। তারপর দেখা যায় লক্ষ্যমাত্রা ৪২ থেকে কমে ২২-এ দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। এবার ফের হারানো কেন্দ্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল।
প্রেস্টিজ ফাইটে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তমলুক ও কাঁথি
তবে যাবতীয় চর্চা এখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্র নিয়েই। তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্রেুভ কি অধিকার-রাজ খর্ব করে তৃণমূল দখল নিতে পারবে? অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের এখন শত যোজন দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলনেতার এই জেলায় দুই আসন নিয়ে বিজেপিরও মাথাব্যথা বেশি। কেননা বিরোধী দলনেতার জেলা বলে কথা। আর তৃণমূলও প্রেস্টিজ ফাইটে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে তমলুক ও কাঁথি আসনে।
কেসিআরের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রাহুল গান্ধীর