প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার মুখে লেনিন জিন্দাবাদ স্লোগান! ২১-এর আগে খুশি বামেরা
লেনিনের (lenin) মূর্তি ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ খড়গপুরের (kharagpur) পুরপ্রশাসক তথা স্থানীয় তৃণমূল (trinamool congress) বিধায়ক প্রদীপ সরকারের (pradip sarkar)। প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া একটি পার্ক ও তার মধ্যে থাকা লেনিনে
লেনিনের (lenin) মূর্তি ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগ খড়গপুরের (kharagpur) পুরপ্রশাসক তথা স্থানীয় তৃণমূল (trinamool congress) বিধায়ক প্রদীপ সরকারের (pradip sarkar)। প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া একটি পার্ক ও তার মধ্যে থাকা লেনিনের মূর্তি নতুন করে স্থাপন করলেন তিনি। তৃণমূল নেতার ইউ উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাম (left) নেতা থেকে সমর্থক সবাই।
করোনায় প্রতিদিনের নিরিখে সাতমাসের সব থেকে কম আক্রান্ত! সংক্রমণে ষষ্ঠ আর মৃত্যুতে তৃতীস্থানে বাংলা
সাতের দশকের গোড়ায় লেনিনের মূর্তি স্থাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাতের দশকের গোড়ায় রাজ্যে সিদ্ধার্থশংকর রায়ের শাসন। সেই সময় বামেদের ওপর হামলার অভিযোগ আজ ইতিহাস। সেই সময় খড়গপুরে লেনিনের নামে পার্ক ও মূর্তি স্থাপন করেছিলেন সেখানকার বামপন্থী নেতা কর্মীরা। উদ্যোক্তা ছিলেন মেদিনীপুরের প্রয়াত ও প্রাক্তন সাংসদ সিপিআই নেতা নারায়ণ চৌবে। এছাড়াও রেলকর্মী ইউনিয়নের নেতা এবং স্থানীয় সুভাষপল্লীর উদ্বাস্তু নেতারা এই উদ্যোগের পাশে ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন স্থানীয় তেলগু ভাষাভাষী মানুষজনও। পার্কটির দেখভাবেলর দায়িত্ব ছিল স্থানীয় রেডস্টার ক্লাবের ওপরে।
পার্কের সংস্কার এবং স্থানীয় বিধায়কের উদ্যোগ
কিন্তু
পরবর্তী
সময়ে
অযত্নে
একদিকে
যেমন
পার্কটি
ধ্বংসস্তুপে
পরিণত
হয়,
অন্যদিকে
লেনিনের
মূর্তিটিও
নষ্ট
হয়ে
যায়।
শুধু
তাই
নয়,
পার্কটির
মধ্যে
কোনও
কোন
সময়
অসামাজিক
কাজকর্মও
চলত
বলে
অভিযোগ
ছিল
স্থানীয়দের।
স্থানীয়
মানুষজনের
পক্ষ
থেকে
পুরসভার
কাছে
পার্কটি
পুনর্গঠনের
জন্য
আবেদন
জানানো
হয়েছিল।
সেইমতো
কাজ
শুরু
করে
পুরসভা।
পার্কটি
সংস্কারের
পাশাপাশি
লেনিনের
মূর্তিটিও
নতুন
করে
স্থাপন
করা
হয়।
বর্তমানে
পার্কটিকে
প্রবীণের
বসায়
জায়গা
ও
শিশুদের
খেলার
উপযোগী
করে
তোলা
হয়েছে।
সেই
পার্ক
ও
মূর্তির
উদ্বোধন
করেন
স্থানীয়
তৃণমূল
বিধায়ক
তথা
পুর
প্রশাসক
প্রদীপ
সরকার।
লেনিনের নামে স্লোগান
লেনিনের নামেই পার্কটি করা হয়েছে। মূর্তির আবরণ উন্মোচনের সময়ে বিধায়ককে লেনিন জিন্দাবাদ স্লোগান দিতেও দেখা যায়। তিনি বলেছেন, লেনিন কোনও ধর্ম বা রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের ছিলেন না। তিনি ছিলেন দুনিয়ার শ্রমিক শ্রেণির বন্ধু। তাঁর প্রয়োজনীয়তা আজও প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রদীপ সরকার। একইসঙ্গে বলেন, তিনি একজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি। তিনি সমস্ত মানুষের এবং সব সম্প্রদায়ের।
খুশি স্থানীয় বামপন্থী নেতাকর্মীরা
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল স্থানীয় বামপন্থী নেতা ও কর্মীদের। পুরসভা ও তৃণমূল পুরপ্রশাসকের উদ্যোগে খুশি তাঁরা। অনুষ্ঠানে সিপিআই-এর তরফে বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, বাসুদেব ঘোষ, সিপিএম-এর অনিতবরণ ণ্ডলস স্মৃতিকণা দেবনাথরা খুশি। বিধায়ক তথা পুরপ্রশাসকের উদ্যোগে আপ্লুত স্থানীয় মানুষজনও।