তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সোনাচুড়া, পায়ে হেঁটে শুভেন্দুর জনসংযোগ চলাকালীন গো ব্যাক স্লোগান
দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে নন্দীগ্রামে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সোনাচুড়া। পায়ে হেঁটে ওই এলাকায় জনসংযোগ করছিলেন শুভেন্দু। সেই সময় একদল তৃণমূল কর্মী তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দেন বলে অভিযোগ।
দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে নন্দীগ্রামে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সোনাচুড়া। পায়ে হেঁটে ওই এলাকায় জনসংযোগ করছিলেন শুভেন্দু। সেই সময় একদল তৃণমূল কর্মী তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দেন বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ঘটনাস্থলে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীও।
শুভেন্দু চলে যেতেই রণক্ষেত্র হয় এলাকা
একেবারে রাস্তায় নেমে জনসংযোগ চালাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দোকানে দোকানে প্রচার চলছিল। সেই সময় হঠাত করেই একদল তৃণমূল কর্মী তাঁকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। পালটা বিজেপি কর্মীরাও জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগান পালটা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে এলাকা। বিক্ষোভ কাটিয়ে কোনও রকমে এলাকা ছাড়েন শুভেন্দু। এরপরেই আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। জানা যাচ্ছে, দুপক্ষের সংঘর্ষে একাধিক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটেছে। পালটা তৃণমূলের দাবি, সংঘর্ষের ঘটনা প্রথমে শুরু করে বিজেপিই প্রথম। এরপর তৃণমূল কর্মীরাও পালটা প্রত্যাঘাত করে বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
ঘটনার প্রতিবাদে ধর্না বিজেপির
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এলাকা। আহত একাধিক বিজেপি কর্মী। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনিক ভবনে ধর্ণা শুরু বিজেপির। থানাতেও চলছে বিক্ষোভ। বিজেপির অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে বিজেপি কর্মীরা আহত হচ্ছে এলাকায়। এই বিষয়ে পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বলে অভিযোগ বিজেপির। আর এই বিষয়ে যতক্ষণ না পর্যন্ত পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
বুধবারও আক্রান্ত হতে হয় শুভেন্দুকে
বুধবারও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় এলাকার বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে। বুধবার স্থানীয় ভেটুরিয়া এলাকায় শুভেন্দুর কনভয় আটকে ঝাঁটা, জুতো হাতে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। পুরুষরাও শুভেন্দু-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা নাজেহাল হন নারী-পুরুষের ওই সম্মিলিত বিক্ষোভ থামাতে। শেষ পর্যন্ত মহিলা পুলিশ ছাড়াই বিক্ষোভকারীদের কনভয়ের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত আসরে নেমে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে পুলিশ। ওই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের 'কারসাজি' দেখছে বিজেপি। যদিও জোড়াফুল শিবিরের দাবি, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ নন্দীগ্রাম। পক্ষান্তরে, বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, ''এক সময় সিপিএম চেষ্টা করেছিল শুভেন্দুকে আটকাতে। এখন তৃণমূল চেষ্টা করছে। এ ভাবে শুভেন্দুকে কেউ আটকাতে পারবে না।''
একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে শুভেন্দুর
সামনেই ভোট। আর ভোটের আগে ক্রমশ উত্তেজনা ছড়াচ্ছে মেদিনীপুরে। দফায় দফায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই আজ বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে শুভেন্দুর। প্রথমে নন্দীগ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচি রয়েছে। এরপর একগুচ্ছ সভা রয়েছে তাঁর।