দুর্ঘটনার সময় কেন অকেজো ছিল বিক্রমের গাড়ির সুরক্ষা ব্যবস্থা? জানাল গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা
অত্যাধুনিক গাড়ি। সুরক্ষা ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত। তবু আসল সময়েই সেই সুরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করল না। কেন অকেজো হয়ে গেল অত্যাধুনিক টয়োটা গাড়ির সুরক্ষা ব্যবস্থা? কেন খুলল না এয়ারব্যাগ?
অত্যাধুনিক গাড়ি। সুরক্ষা ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত। তবু আসল সময়েই সেই সুরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করল না। কেন অকেজো হয়ে গেল অত্যাধুনিক টয়োটা গাড়ির সুরক্ষা ব্যবস্থা? কেন খুলল না এয়ারব্যাগ? সেই প্রশ্নের উত্তর দিল গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকালে টয়োটার বিশেষজ্ঞ দল দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটি পরীক্ষা করে তদন্তকারী সিটকে বিস্তারিত জানায়।[৩৫ মিনিটের মিসিং লিঙ্কেই আটকে সনিকা মৃত্যু রহস্য, ২৫ জনের তালিকা তৈরি সিটের ]
এদিন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ টিমের পাশাপাশি টয়োটার বিশেষজ্ঞরাও টালিগঞ্জ থানায় অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটি পরীক্ষা করতে আসেন। বিশেষজ্ঞরা তা পরীক্ষা করে বলেন, দুর্ঘটনার সময়ে গাড়িটির সামনে কোনও আঘাত লাগেনি। আঘাত লেগেছে পাশে। ফলে কোনও সেন্সরই কাজ করেনি। সেই কারণেই খোলেনি এয়ারব্যাগ। কাজ করেনি গাড়ির ভিতরে কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা।[দু'দফা জেরায় পুলিশকে কী বললেন বিক্রম?]
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, যদি গাড়ির সামনে আঘাত হত, তাহলে সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলি কাজ করত। এয়ারব্যাগও খুলত। পুলিশের ধারণা, এয়ারব্যাগ খুললে মডেল সনিকা সিং চৌহানের এই অকাল পরিণতি হত না। পুলিশ এই তথ্য জানার পর কী কারণে দুর্ঘটনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিক্রমের কথা অনুযায়ী গাড়ি র চাকা যদি ট্রাম লাইনে স্কিড করে, তাহলে কী সামনে ধাক্কা না লেগে উল্টে যেতে পারে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে এই সম্ভাবনা।[সনিকা-বিক্রম দুর্ঘটনা কাণ্ডে মিসিং লিঙ্ক কী কী? জেনে নিন একনজরে]
পাশাপাশি পুলিশের আরও একটা জিজ্ঞাস্য, সনিকা সিট বেল্ট পরেছিল, নাকি সিট বেল্ট দুর্ঘটনার সময় খুলে যায়? তা নিশ্চিত করতেও চাইছেন তদন্তকারীরা। এই বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বিক্রম জানান, তিনি সনিকাকে সিট বেল্ট পড়তে বলেছিলেন। তবে সিট বেল্ট সে পরেছিল কি না, তা মনে নেই বিক্রমের।[এই বন্ধুর জন্যই কী সনিকা মত্যুর তদন্তে বয়ান বদলালেন বিক্রম ?]