মহালয়ার গানের সেই অবিস্মরণীয় কণ্ঠ চিরকাল সঞ্চারিত হবে পল্লবিনীর মতোই
মহিষাসুরমর্দিনীর সৃষ্টির পর থেকেই যেমন ধারণা তৈরি হয়েছিল মহালয়া মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, তেমনই বাঙালির শারদোৎসব মানেই দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের সেই জলদ-গম্ভীর কণ্ঠে ‘জাগো দুর্গা’।
বাংলার শারদোৎসবের আগে মহালয়ের পূণ্য ভোরে মহিষাসুরমর্দিনীর সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর থেকেই যেমন ধারণা তৈরি হয়েছিল মহালয়া মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, তেমনই বাঙালির শারদোৎসব মানেই দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের সেই জলদ-গম্ভীর কণ্ঠে 'জাগো দুর্গা'। তাঁর কণ্ঠেই দুর্গার আবাহন। বাঙালির পুজোর অলিখিত থিম সং। শরৎ এলেই দিকে দিকে বেজে উঠত তাঁর কণ্ঠ।
আজ অমলিন সেই সুর-ছন্দ। এই মহিষাসুরমর্দিনীই তাঁকে অম্লান করে রাখবে যুগ যুগ ধরে। দ্বিজেনবাবুর সঙ্গীত জীবনে সবথেকে বড় পাওনা বোধহয় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর তুলনা। তিনি নিজেও সেকথা বলেছেন বহুবার, বহুবার তাঁর স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। তিনি সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করার পরই তাঁর কণ্ঠ তুলনা হত সঙ্গীত লিজেন্ড হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
সঙ্গীত বিশেষজ্ঞরা বলতেন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতোই দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠও ঈশ্বরদত্ত। তাঁর কণ্ঠ, গায়কী, স্বরক্ষেপণে ছিল হেমন্ত-ঘরানা। অনেক বাঙালি শ্রোতা অনেক সময় ভুল করে ফেলেছেন হেমন্তবাবুর বলে। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের সেই গান 'শ্যামল বরণী ওগো কন্যা' আজও বাঙালি রোমান্টিকতার পরশ লাগায় বাঙালি প্রেমিক-মনে।
হেমন্তর 'গাঁয়ের বধূ' আর 'রানার'-এর পরই এসেছিল দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের 'শ্যামল বরণী'। হেমন্ত-সলিল জুটির মতো তৈরি হয়েছিল সলিল-দ্বিজেন জুটি। সলিল চৌধুরী যেমন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-সুকান্ত ভট্টাচার্যর লেখনিকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মায়া-কণ্ঠে বেঁধেছিলেন, তেমনই মধুসূদন দত্তেন সনেটকে স্থান দিয়েছিলেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে।
'জাগো দুর্গা'র মতোই তাঁর কণ্ঠে জনপ্রিয় হয়েছিল মধুসূদনের কবিতা 'রেখো মা দাসেরে মনে' বা 'আশার ছলনে ভুলি'। মহিষাসুরমর্দিনীর গান তাঁকে যেমন প্রজন্মের পর প্রজন্ম অবিস্মরনীয় করে তুলবে, তেমনই তাঁর কণ্ঠ চিরস্মরণীয় থাকবে 'শ্যামল বরণী', 'পল্লবিনী গো সঞ্চারিণী' প্রভৃতি। যতদিন বাংলা গান থাকবে, তাঁর গান, তাঁর কণ্ঠ রয়ে যাবে বাঙালির মনের মণিকোঠায়। ১৯৪৪ সাল থেকে যে গানের ভেলা ভাসিয়েছিলেন শিল্পী, ২০১৮-য় তাঁর জীবনরথ থেমে গেলেও তাঁর জাদুভরা কণ্ঠ চিরস্মরণীয় হয়ে রয়ে যাবে। বাংলার শারদোৎসবের আগে মহালয়ের পূণ্য ভোরে মহিষাসুরমর্দিনীর সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর থেকেই যেমন ধারণা তৈরি হয়েছিল মহালয়া মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, তেমনই বাঙালির শারদোৎসব মানেই দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের সেই জলদ-গম্ভীর কণ্ঠে 'জাগো দুর্গা'। তাঁর কণ্ঠেই দুর্গার আবাহন। বাঙালির পুজোর অলিখিত থিম সং। শরৎ এলেই দিকে দিকে বেজে উঠত তাঁর কণ্ঠ।
আজ অমলিন সেই সুর-ছন্দ। এই মহিষাসুরমর্দিনীই তাঁকে অম্লান করে রাখবে যুগ যুগ ধরে। দ্বিজেনবাবুর সঙ্গীত জীবনে সবথেকে বড় পাওনা বোধহয় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর তুলনা। তিনি নিজেও সেকথা বলেছেন বহুবার, বহুবার তাঁর স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। তিনি সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করার পরই তাঁর কণ্ঠ তুলনা হত সঙ্গীত লিজেন্ড হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
সঙ্গীত বিশেষজ্ঞরা বলতেন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতোই দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠও ঈশ্বরদত্ত। তাঁর কণ্ঠ, গায়কী, স্বরক্ষেপণে ছিল হেমন্ত-ঘরানা। অনেক বাঙালি শ্রোতা অনেক সময় ভুল করে ফেলেছেন হেমন্তবাবুর বলে। দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের সেই গান 'শ্যামল বরণী ওগো কন্যা' আজও বাঙালি রোমান্টিকতার পরশ লাগায় বাঙালি প্রেমিক-মনে।
হেমন্তর 'গাঁয়ের বধূ' আর 'রানার'-এর পরই এসেছিল দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের 'শ্যামল বরণী'। হেমন্ত-সলিল জুটির মতো তৈরি হয়েছিল সলিল-দ্বিজেন জুটি। সলিল চৌধুরী যেমন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত-সুকান্ত ভট্টাচার্যর লেখনিকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মায়া-কণ্ঠে বেঁধেছিলেন, তেমনই মধুসূদন দত্তেন সনেটকে স্থান দিয়েছিলেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে।
'জাগো দুর্গা'র মতোই তাঁর কণ্ঠে জনপ্রিয় হয়েছিল মধুসূদনের কবিতা 'রেখো মা দাসেরে মনে' বা 'আশার ছলনে ভুলি'। মহিষাসুরমর্দিনীর গান তাঁকে যেমন প্রজন্মের পর প্রজন্ম অবিস্মরনীয় করে তুলবে, তেমনই তাঁর কণ্ঠ চিরস্মরণীয় থাকবে 'শ্যামল বরণী', 'পল্লবিনী গো সঞ্চারিণী' প্রভৃতি। যতদিন বাংলা গান থাকবে, তাঁর গান, তাঁর কণ্ঠ রয়ে যাবে বাঙালির মনের মণিকোঠায়। ১৯৪৪ সাল থেকে যে গানের ভেলা ভাসিয়েছিলেন শিল্পী, ২০১৮-য় তাঁর জীবনরথ থেমে গেলেও তাঁর জাদুভরা কণ্ঠ চিরস্মরণীয় হয়ে রয়ে যাবে।