এড়ালেন না হাজিরা, সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই নির্ধারিত সময়েই উপস্থিত পরেশ পাল
এড়ালেন না হাজিরা, সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই নির্ধারিত সময়েই উপস্থিত পরেশ পাল
হাজিরা এড়ালেন না তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পরেশ পাল। সিবিআই নির্ধারিত সময়েই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির পরেশ পাল। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তাঁকে গতকাল তলব করে সিবিআই। আজ সকাল ১১টার মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। সেই নির্দেশ মেনেই তাঁকে হাজিরা দিলেন তিনি।
সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা
গতকাল ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পালকে তলব করেছিল সিবিআই। বুধবার সকাল ১১টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সেই নির্ধারিত সময়েই হাজিরা দিয়েছেন তিনি। কাঁকুরগাছতে িবজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের ঘটনায় তলব করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে। অনুব্রত মণ্ডলের পর এই নিয়ে শাসক দলের দ্বিতীয় ব্যক্তি পরেশ পাল যাঁকে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তলব করা হল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর। তবে এই ঘটনায় জেরার জন্য ডাকা হয়েছিল স্বপন সমাদ্দারকেও তিনি হাজিরা দেননি।
সিবিআই দফতরে অভিজিৎ সরকারের দাদা
পরেশ পালকে জেরা করা হবে জানতে পেরেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছে মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। তিনি সিবিআই চাইলে তাঁকে পরেশ পােলর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে। সেকারণেই তিনি আগে থেকে এসে উপস্থিত হয়েছেন। সিবিআই নোটিস দেওয়ার আগেই তিনি হাজির হয়ে গিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন ভোেটর আগেই পরেশ পাল এলাকায় জনসভা করে তাঁদের হুমকি দিয়েছিেলন। পরেশ পাল নাকি বলেছিেলন তাঁদের দুই ভাইকে যমের দক্ষিণ দুয়ারে পাঠিয়ে দেব।
দ্রুত বিচারের দাবি
অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার দাবি করেছেন তাঁরা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব দোষীরা সাজা পান। সেকারণেই সিবিআই নোটিস পাঠিয়ে তাঁকে ডাকার আগেই তিনি হাজির হয়ে গিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যতদিন না বিচার পাওয়া যাবে ততদিন তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন। এর আগে সিবিআই দফতরের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে অভিজিৎ সরকারের পরিবার। পরেশ পাল যে তাঁকে এবং তাঁর ভাইকে খুন করার চক্রান্ত করেছিেন সেটা প্রকাশ্যেই দাবি করেছেন বিশ্বজিৎ সরকর।
বিজেপি কর্মী খুন
একুশের বিধানসভা ভোটে অপ্রত্যাশিত জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বিজেপি। তারপরেই জেলায় জেলায় শুরু হয় ভোট পরবর্তী হিংসা। বাদ যায়নি শহর কলকাতাও। ভোট গণনার পরের দিনই খুন হয়েছিলেন কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্নী অভিজিৎ সরকার। শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিজেপি করার অপরাধেই তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পরিবার। তারপরেই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি, দল ছাড়লেন হার্দিক প্যাটেল, গুজরাত ভোটের আগে বড় ধাক্কা কংগ্রেসের