বড়দিনের কেকেও মেটেনি অভিমান! সুদীপের অনুষ্ঠানে তাপসের গরহাজিরায় প্রশ্নে তৃণমূল
বড়দিনে তাপস রায়কে নিজে হাতে কেক খাইয়ে দিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল এবার বোধহয় ইতি ঘটল দ্বৈরথে।
বিধায়ক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক তাপস রায়ের দূরত্ব এখনও ঘোচেনি। ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল। বড়দিনে তাপস রায়কে নিজে হাতে কেক খাইয়ে দিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল এবার বোধহয় ইতি ঘটল দ্বৈরথে। কিন্তু সুদীপের গেট টুগেদার আবার প্রশ্ন তুলে দিল।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গেট টুগেদারে উত্তর কলকাতা তৃণমূল নেতৃত্বের প্রায় সবাই হাজির হলেও ছিলেন না তাপস রায়। তা নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। তবে কি এখনও মেটেনি তাপস রায়ের অভিমান? বড়দিনের কেক-সম্প্রীতির পর যখন মনে হয়েছিল সব দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে, তখনই ফের বিপত্তি।
সুদীপের অনুষ্ঠানে তাপসের গরহাজিরায় প্রশ্ন উঠে পড়ল উত্তর কলকাতা তৃণমূলের অন্তর্কলহ নিয়ে। সাংসদ তথা বর্তমান উত্তর কলকাতা সভাপতির পিকনিকে নেই প্রাক্তন উত্তর কলকাতা সভাপতি তথা বিধায়ক তাপস রায়। অথচ তিনি উত্তর কলকাতার অন্য অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।
বড়দিনে কাউন্সিলর অনিন্দ্য জানান কেক উৎসবে দেখা গিয়েছিল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাপস রায়কে। সেই অনুষ্ঠানে সমস্ত দূরত্ব ঘুচিযে দিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে কেক খাইয়ে দিয়েছিলেন তাপস রায়কে। তারপর এদিনও সুদীপের গেট টুগেদারে তাঁদের দুজনকে দেখা যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তাপস রায় আসেননি।
এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, কেন এলেন না তাপস। তাঁদের দ্বৈরথের জেরেই কি গরহাজির। নাকি তাঁকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। উভয় তরফই এ ব্যাপারে নীরব থেকেছে। এদিন উত্তর কলকাতার একাধিক কাউন্সিলর ও সাংগঠনিকর নেতারা হাজির ছিলেন সুদীপের অনুষ্ঠানে।
উত্তর কলকাতার তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে ছিলেন পরেশ পাল, শ্রেয়া পাণ্ডে, অতীন ঘোষ। ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ শান্তনু সেন প্রমুখ। ছিলেন না শুধু তাপস রায়। কোক উৎসব দেখে মনে হয়েছিল তাঁদের সম্পর্কের শৈত্য কাটতে চলেছে। কিন্তু এদিনের অনুপস্থিতি ফের তা বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে দুই হেভিওয়েটের দ্বৈরথ থামিয়ে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে। কিন্তু এখনও থেকে গিয়েছে দ্বন্দ্ব। এবার পুজোর আগে থেকেই দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব সামনে আসে। পরস্পরের বিরুদ্ধে কামান দাগতে শুরু করেন তাঁরা। তাপস রায় বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে জানান, বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুদীপ-শুবেন্দু কলকাতার এক বিজেপি নেতার বাড়ির পুজোয় গিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তাপস। তার পাল্টাও দিয়েছিলেন সুদীপ। তাপস রায়কে সরিয়ে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের দায়িত্ব সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়ার পর থেকেই দ্বৈরথ শুরু হয় উভয়ের। তা এখনও চলছে।