আসছে লাল ঝড়, নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গের আকাশে! ব্রিগেড থেকে বার্তা সূর্যকান্তের
ব্রিগেডে লাল ঝান্ডার ভিড় দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। ভয় পেয়েছে বিজেপিও। যারা বলছিলেন, তৃণমূলকে হটাতে পারে বিজেপি, তারা এখন বুঝতে পেরেছেন বিজেপির সব ধাপ্পা।
ব্রিগেডে লাল ঝান্ডার ভিড় দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। ভয় পেয়েছে বিজেপিও। যারা বলছিলেন, তৃণমূলকে হটাতে পারে বিজেপি, তারা এখন বুঝতে পেরেছেন বিজেপির সব ধাপ্পা। তৃণমূলকে হটাতে পারে বামেরাই। রবিবারের ব্রিগেড প্রমাণ করে দিয়েছে, নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে বঙ্গের আকাশে। লাল ঝড় আসছে।
বাংলায় লাল ঝড় সময়ের অপেক্ষা
লোকসভার আগে ব্রিগেড বার্তায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সাফ জানিয়ে দিলেন, বাংলায় লাল ঝড় ওঠা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সেই ঝড়ে ফুৎকারে উড়ে যাবে বিজেপি-তৃণমূল। মানুষ ভুল করেছে, ভুল করে তৃণমূল আর বিজেপিকে এনেছে যথাক্রমে রাজ্য ও দেশের ক্ষমতায়। সেই মানুষই ইতিহাস গড়বে। মানুষই ভুল করে মানুষই ইতিহাস গড়ে।
ইতিহাস গড়বেন বাংলার মানুষ
রাজ্য থেকে তৃণমূল আর দিল্লি থেকে বিজেপি সরকারকে হটিয়ে মানুষ গণতন্ত্রের সরকার আনবে। লালা ঝান্ডা নিয়ে সেই ইতিহাস গড়বেন বাংলার মানুষ। এই সরকারের আমলে বাংলায় শিল্প নেই, কাজ নেই। বাংলায় শিল্প চাই, কাজ চাই। কিন্তু রাজ্য থেকে শিল্পকেই তাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শিল্পতাড়ুয়া সরকার চলছে রাজ্যে
তিনি বলেন, রাজ্যে শিল্পতাড়ুয়া সরকার চলছে। তাই কোনও শিল্প আসবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন রাজ্যে শিল্প আসবে না, কোনও বিনিয়োগও আসবে না। দুহাতে কাজে চাই, পেটে ভাত চাই। আপনি থাকলে রাজ্যের মানুষের তাই ভাতও জুটবে না। বাংলাকে বাঁচাতে সরকারের ফিরতে হবে বামেদেরই।
দফাদার মুখ্যমন্ত্রীর সরকার রাজ্যে
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে সূর্যকান্ত বলেন, আপনি নিজের মাইনে ন-গুণ বাড়িয়েছেন। আমাদের আমলে গাড়ি চালকরাও মন্ত্রীর তুলনায় বেশি বেতন পেতেন। কেন্দ্রে চৌকিদারের সরকার চলছে। রাজ্যে চলছে দফাদারের সরকার। মোদীকে চৌকিদার কটাক্ষের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন নামকরণ করলেন সূর্যকান্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দফাদার মুখ্যমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করলেন।
চালুনি হতে চাইছিলেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, চালুনি হতে চাইছিলেন মমতা। তাই ২৩ জনকে ভিনরাজ্য থেকে ডেকে এনে সমাবেশ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেডে ২৩ জন বক্তা থাকলেও শোনার লোক ছিল কম। আমাদের সভায় মাত্র ৯ জন বক্তা, কিন্তু শোনার লোক দ্বিগুণ।