যাদবপুরের পড়ুয়া, শিক্ষকরা অনড় বয়কটে, ফিকে হচ্ছে সমাবর্তন
কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর: বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৯তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর আবেদন অগ্রাহ্য করে তা বয়কট করার সিদ্ধান্তেই অনড় থাকলেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি, শিক্ষক সংগঠন 'জুটা' (যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন)-ও এই সমাবর্তন বয়টক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের অনুরোধে পুলিশ ঢুকেছিল ঐতিহ্যশালী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। তার পর কী হয়েছি, সবারই জানা। সেই থেকে উপাচার্যকে বয়কট করে চলেছে পডুয়ারা। 'জুটা'-ও ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ফলে উপাচার্য কার্যত এক ঘরে।
অচলাবস্থা কাটাতে প্রথমে রাজ্যপাল তথা আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী হুমকি দিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীদের। বলেছিলেন, সমাবর্তনে হাজির না হলে সার্টিফিকেটে 'বয়কট' স্ট্যাম্প মেরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বাড়িতে। পরে হাওয়া খারাপ বুঝে তিনি সুর নরম করেন। বলেন, এমন প্রস্তাব সরকার কার্যকর করবে না।
এর পরই আসরে নামেন অভিজিৎ চক্রবর্তী। তিনি আবেদন জানান পড়ুয়াদের কাছে। 'জুটা'-কে শাস্তির ভয় দেখিয়েও পথে আনতে পারেননি। মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছেন ক্যাম্পাসে। একই কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছেন অধ্যাপকরা। বুধবারের সমাবর্তন বয়কট করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে সবার কাছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সমাবর্তনে মুখ পুড়তে পারে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ও উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর। কারণ ফাঁকা প্রেক্ষাগৃহে এসে কাকে সম্বোধন করবেন তাঁরা? কাদের হাতেই বা সার্টিফিকেট তুলে দেবেন? এমন অস্বস্তিকর সমাবর্তন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।