রাস্তায় 'দাঁড়িয়ে উন্নয়ন'! 'হাসি' অর্থ দফতরের কর্তাদের মুখে
রাজ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসনে পঞ্চায়েত ভোট না হওয়ায় হাসি অর্থ দফতরের কর্তাদের মুখে। সাশ্রয়ের পরিমাণ প্রায় ৩৮ কোটি টাকা বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
রাজ্যের প্রায় এক তৃতীয়াংশ আসনে পঞ্চায়েত ভোট না হওয়ায় হাসি অর্থ দফতরের কর্তাদের মুখে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকলেও, খরচ করতে হয় রাজ্য সরকারকেই। সেই নিরিখে আপাতত সেই সাশ্রয়ের পরিমাণ প্রায় ৩৮ কোটি টাকা বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে প্রায় আটান্ন হাজার আসনের মধ্যে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে নির্বাচন হচ্ছে না। তিনটি স্তর মিলিয়ে আসন সংখ্যাটা আপাতত ২০,০৭৬। যা ছড়িয়ে রয়েছে ১১,০১৬ টি বুথে।
বুথ পিছু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ গড়ে ৩৫ হাজার টাকা। ফলে সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের সাশ্রয়ের পরিমাণ প্রায় ৩৮ কোটি টাকা।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী আদরের কেষ্ট মণ্ডলের বীরভূম। কেননা তিনিই প্রথমে রাস্তায় উন্নয়নের দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। ভোট ময়দানে মশারি টানিয়ে মাছি না গলার কথাও বলেছিলেন। ফলে সেখানে ২৭৯৮ টি বুথের মধ্যে ২৩২৪ টি বুথে ভোট হচ্ছে না। শতাংশের নিরিখে যা প্রায় ৮৩.০৬ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ। বাঁকুড়ায় ৩০১৪ টি বুথের মধ্যে ১৭৩৭ টি( ৫৭.৬৩%) এবং মুর্শিদাবাদে ৫১০৭ টির মধ্যে ২৮২৪ টি( ৫৫.৩০%) বুথে ভোট হচ্ছে না।