‘শরীরে সিপিএমের বদরক্ত বইছে’, তালাক-বিতর্কে সম্মুখ-সমরে সিদিকুল্লা বনাম রেজ্জাক
সম্মুখ সমরে যুযুধান দুই তৃণমূলী মন্ত্রী। তালাক-বিতর্কে তাঁদের বাক-যুদ্ধে শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। তাৎক্ষণিক তালাকের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের রায়দানের পরও দল যখন নীরব, তখন একেবারে কোমর বেঁধে বাক যুদ্ধ শুরু করেছেন সিদিকুল্লা চৌধুরী বনাম রেজ্জাক মোল্লা। দুজনের অবস্থান একেবারে দুই বিন্দুতে।
[আরও পড়ুন: সৌজন্য-অভিমান শেষ, ফের আক্রমণ মমতাকে, কী বললেন অধীর]

রাজ্যের দুই সংখ্যালঘুমন্ত্রী কথার যুদ্ধে সিদিকুল্লা চৌধুরী সরাসরি সিপিএমকে টেনে আক্রমণ করেছেন রেজ্জাক মোল্লাকে। রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী বলেন, সিপিএমের বদরক্ত বইছে রেজ্জাক সাহেবের শরীরে। তাই তিনি তো বলবেনই তিন তালাকের বিরুদ্ধে। এমনকী ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও দ্বিধা করেননি রেজ্জাককে।
রেজ্জাক সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছিলেন। আর সিদিকুল্লা কোরানের বাণী তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অসাংবিধানিক বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। স্বভাবতই রেজ্জাক সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাতেই রে-রে করে উঠেছেন সিদিকুল্লা।
তিনি রেজ্জাক সাহেবকে একহাত নিয়ে বলেন, 'রেজ্জাক সাহেব সাতবার সিপিএম থেকে বিধায়ক হয়েছেন। তারপর দিদি তাঁকে দলে জায়গা দিয়েছেন। কিন্তু অতদিনের সিপিএমের বদরক্ত এখনও তাঁর শরীর থেকে যায়নি। তাই সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।'
এর পাশাপাশি সিদিকুল্লা সাহেব রেজ্জাকের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, 'রেজ্জাক মোল্লা আলেম নন। তিনি একজন সাধারণ শিক্ষিত। তাই এই বিষয়ে তাঁর পড়াশোনা কম। তিনি হজ করেছেন, তাঁকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তবে তিনি আমাদের কাছে আইকন নয়।'
রেজ্জাক মোল্লা সিদিকুল্লা সাহেবের এই কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন দ্ব্যর্থহীন ভাষায়। তিনি বলেছেন, আমি পড়েছি কি না, তা উনি জানবেন কী করে। আমি আমার স্বাধীন মত দিয়েছি। যে যাই বলুন, আমি আমার মত বদল করছি না। আমি বিশ্বাস করি এই রায় একেবারেই সঠিক, যুক্তিপূর্ণ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট তাৎক্ষণিক তালাককে অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে রায় দেয়। সেই রায়কে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সরকারিভাবে এই তাৎক্ষণিক রায় নিয়ে কোনও মত প্রকাশ করেনি। তবে তৃণমূলের দুই সংখ্যালঘু মন্ত্রী পৃথক পৃথকভাবে পরস্পরবিরোধী মত প্রকাশ করেন। সেই পরস্পরবিরোধী মত নিয়েই যুযুধান দুই মন্ত্রী।