ভারী বর্ষায় জলমগ্ন কলকাতার চেনা ছবি পাল্টাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নামছে একাধিক সরকারি সংস্থা
ভারী বর্ষায় জলমগ্ন কলকাতার চেনা ছবি পাল্টাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাঠে নামছে একাধিক সরকারি সংস্থা
বৃষ্টি হলেই শহর কলকাতার জল থইথই দৃশ্য আমাদের সকলেরই পরিচিত। বর্ষা আসতে না আসতেই কলকাতার একাধিক অঞ্চলের বাসীন্দাদের ভোগান্তির শেষ থাকেনা৷ বর্ষকালে কলকাতা যেন কার্যতই হয়ে ওঠে লন্ডনের টেমস। এবার পাকাপাকিভাবে বর্ষা আসার আগেই বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কলকাতার জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করতে যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিল একাধিক সরকারী সংস্থা।
প্রত্যেক বর্ষাতেই জলমগ্ন কলকাতার চেনা ছবি চোখে পড়ে
প্রতিবছরই ভারী বৃষ্টিপাত হলেই ভিআইপি রোডের কাছ থেকে বাগুইআটি, তেঘরিয়া, চিনার পার্ক এবং হলদিরাম মোড়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হাঁটু জল জমে যেতে দেখা যায়। এছাড়াও কেষ্টোপুর, বাগজোলা, রাজারহাট ও নিউ টাউন অঞ্চলের জমা আবর্জনার ফলে এই অঞ্চলের নিকাশি নালা গুলি বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলস্বরূপ এই অঞ্চলগুলিতে একবার জল দাঁড়ালে সহজে তা নামতে চায়না।
জলমগ্ন কলকাতাকে স্বাভাবিক করতে যৌথ উদ্যোগ সরকারি সংস্থাগুলি
এবার বিধাননগর পৌর কর্পোরেশন, নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি, এবং কলকাতার হাউজিং ও অবকাঠামো উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে ভিআইপি রোড সংলগ্ন অঞ্চলের আবর্জনা অপসারণ করে নিকাশি ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। কেষ্টপুর-বাগুইআটি-রাজারহাট এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা মূলত কেষ্টপুর খাল ও ইস্ট্রান ড্রেনেজ চ্যানেলের উপরেই নির্ভরশীল।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বসানো হবে নয়া নিকাশি পাম্প
অনেক সময়েই বিধাননগর ও নিউটাউনের মধ্যবর্তী অঞ্চলগুলি কোন পৌরসভায় এই নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরী হয়। তাই এবারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিধাননগর ও নিউটাউন সীমান্তবর্তী খালের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে জল নির্গমনের জন্য নতুন নিকাশি পাম্প বসানো হবে এবং সমস্ত নিকাশি নালা পুনরায় পরিষ্কার করা হবে। জানা যাচ্ছে, বিধাননগর মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এবং হিডকো যৌথভাবে এই কাজটি করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
গত ১০ বছরে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হয়েছে ৭৬টি পাম্পিং স্টেশন
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর গত ১০ বছরে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ৭৬টি পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। যেগুলো শহরের জমা জল বার করার জন্য ২৪ ঘণ্টাই কাজ করছে বলে নিকাশি বিভাগের কর্তাদের বক্তব্য। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য, নিকাশি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তারক সিং সম্প্রতি বলেন, 'ধারাবাহিক ভাবে যে ভাবে মাটির নীচ থেকে পলি তোলা হচ্ছে, তাতে শহরের নিকাশি পথ অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে। তাই, বর্ষার জমা জল এ বার দ্রুত সরে যাবে বলে আশা করছি।'
সচিনের রাগ ঠান্ডা করতে ময়দানে প্রিয়াঙ্কা-রাহুল! কংগ্রেসের অন্দরমহলে দোলাচল অব্যাহত