ছেলে, মেয়ে, স্ত্রীর সঙ্গে ভুল করছেন! আবেগঘন চোখে স্বামী শোভন সম্পর্কে আর কী বললেন স্ত্রী রত্না
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসুন। নিজের ছেলে, মেয়ে, স্ত্রীর সঙ্গে ভুল করছেন। আবেগঘন চোখে স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে এমনটাই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্ত্রী।
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসুন। নিজের ছেলে, মেয়ে, স্ত্রীর সঙ্গে ভুল করছেন। আবেগঘন চোখে স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে এমনটাই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়।
নিজের স্বামীকে কাজের মানুষ বলেই বর্ণনা করেছেন রত্না। মেয়র হতে গেলে, যেসব ধাপ পেরনো উচিত সব ধাপই শোভন চট্টোপাধ্যায় পেরিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন রত্না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিদি বললেও, মায়ের মতোই দেখতেন শোভন। এমন কি দিদির নম্বর মোবাইলে মা বলে সেভ করা ছিল। কিন্তু সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও তাঁর স্বামী শোনেননি বলে অভিযোগ করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায় দূরে ঠেললেও, তিনি যে স্বামীকে দূরে ঠেলতে রাজি নন, এই বক্তব্যের মধ্যে থেকেই পরিষ্কার।
রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উনিই তাঁকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠিয়েছিলেন। লন্ডন যাওয়ার পর প্রতিদিনই কথা হতো তাঁর সঙ্গে। কিন্তু হঠাৎই একদিন ইমেলে ডিভোর্সের চিঠি পৌঁছয়। ডিভোর্সের চিঠি পাওয়ার পর লন্ডন থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। কেননা তিনি ফোন নম্বরটি ব্লক করে দিয়েছিলেন। সেই সময় ইডিও ডাকাডাকি করছিল। তাই দেরি না করেই দেশে ফিরে আসেন তিনি। জানিয়েছেন রত্না।
রত্না বলেছেন, নিজের শান্তি নিজেই বিঘ্নিত করছেন। ওনার শান্তি কেউ বিঘ্নিত করছেন না। গুণ্ডা নিয়ে হামলা করার ধারণনা অমূলক। কোথাও গিয়ে ঝামেলা পাকানোর লোক রত্না চট্টোপাধ্যায় নয়। বাইশ বছর ধরে অত্যাচারের যে অভিযোগ, করেছেন সে সম্পর্কে দিদিও ভাল করেই জানেন। একথা পর্ণশ্রীর মানুষও বিশ্বাস করবেন না। জানিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
গোলপার্কের ফ্ল্যাট নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, গত অগাস্ট মাস থেকে বাড়িতে থাকছিলেন না। ফ্ল্যাটটি যে তাঁর ভাই শুভাশিষ দাসের সে কথা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন রত্না। থাকতে গেলে রেসিডেন্সিয়াল রাইট যে নিতে হবে, তা ভাল করেই জানেন মেয়র। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ফিয়ার সাইকোসিসে ভুলছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বাইশ বছর ঘর করার পর থানায় না গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে যাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন রত্না।
শোভন চট্টোপাধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেও শ্বশুর বাড়ির লোক তাঁর পাশেই রয়েছেন, বলেছেন রত্না। তিনি লন্ডন থেকে ফেরার পর বড় ভাসুর চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে দিয়ে কাগজপত্র তৈরি করে দেন বলে জানিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন:বৈশাখীর পরিবার যা করেছে তা ভুলব না, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক শোভন চট্টোপাধ্যায়]