মিশন ২০২১-এ তৃণমূল কংগ্রেস! দলের নেতা-কর্মী নন, প্রকৃত ‘সমাজসেবকরা’ই টার্গেট পিকে'র
শুধু জনসংযোগেই আটকে থাকতে চান না প্রশান্ত কিশোর। তিনি বুথভিত্তিক টিম তৈরির কথা বলেছেন। সেই লক্ষ্যে সক্রিয় কর্মী বাছার সঙ্গে সঙ্গে, পিকে টার্গেট করছেন ‘সমাজসেবক’দের।
শুধু জনসংযোগেই আটকে থাকতে চান না প্রশান্ত কিশোর। তিনি বুথভিত্তিক টিম তৈরির কথা বলেছেন। সেই লক্ষ্যে সক্রিয় কর্মী বাছার সঙ্গে সঙ্গে, পিকে টার্গেট করছেন 'সমাজসেবক'দের। প্রকৃত অর্থেই যিনি সমাজসেবার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন, তাঁকেই চাই। এমন অন্তত পাঁচ-ছজনকে ব্লকভিত্তিক টার্গেট করার নির্দেশ দিয়েছেন স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর।
প্রতি ব্লক থেকে পাঁচ-ছজন সমাজসেবক
প্রতি ব্লক থেকে পাঁচ-ছজন সমাজসেবক তুলে আনাই লক্ষ্য প্রশান্ত কিশোরের। তৃণমূল বিধায়ক, ব্লক ও জেলা সভাপতিদের তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা খুঁজে বের করতে হিমশিম খেতে হবে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা। সোমবার কলকাতায় জেলা সভাপতি এ কো-অর্ডিনেটরদের নিয়ে একটা বৈঠক করেন প্রশান্ত কিশোর।
জনসংযোগের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছনোর নির্দেশ
পিকে দলীয় নেতৃত্বের কাছে এই প্রস্তাব রেখেছেন। এবার বৈঠকে পিকের প্রস্তাব মেনে নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে গ্রামে গ্রামে ঘোরার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা তথা ব্লক নেতৃত্বকে। এর ফলে জনসংযোগ আরও গভীর মাত্রা পাবে বলে মনে করছে নেতৃত্ব। প্রশান্ত কিশোরও এমন টাস্ক দিয়েছেন যে জনসংযোগের চূড়ান্ত পর্যায়ে না পৌঁছলে তা সম্ভব হবে না।
সমাজসেবকদের অনুসন্ধানেও গুরুত্ব আরোপ
লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর প্রশান্ত কিশোরকে প্রচার কৌশল ও ভোট কৌশল তৈরির জন্য নিযুক্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দায়িত্ব নিয়েই দিদিকে বলো কর্মসূচিতে জনসংযোগ অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা করেন। তার সঙ্গেই বুথভিত্তির নতুন টিম গড়ার পরামর্শ যেমন দিয়েছেন তিনি, তেমনই সমাজসেবকদের অনুসন্ধানেও গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
কর্মীদের মনোবল বাড়াতে গ্রামে গ্রামে যোগাযোগ
লোকসভা নির্বাচনে হতাশাজনক ফলের পর কর্মীদের মনোবল বাড়াতে গ্রামে গ্রামে যোগাযোগ বাড়ানো দরকার। আর দতরকার গ্রামে নিজেদের প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তোলা। সে জন্য সমাজসেবকদের দরকার, যারা রাজনীতির আঙিনায় না থাকালেও, তাঁরা সমাজে মান্যতা পায়। যাঁদের এবলাকার বাসিন্দারা মেনে চলে। এমন লোককে তিনি টার্গেট করছেন।
[আরও পড়ুন:তিন বিদেশি বিশেষজ্ঞ এলেন বউবাজারের এলাকা পরিদর্শনে]