মূর্তি ভাঙা নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে, সতর্কতায় ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির পাহারায় পুলিশ
এদিন সকাল থেকেই ধর্মতলার লেনিন মূর্তির পাদদেশে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
কেওড়াতলায় জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি ভাঙার পর থেকে বাংলায়ও শুরু হয়ে এই নিয়ে বিতর্ক। বুধবার সকালে মূর্তি ভাঙার পর বৃহস্পতিবার গেরুয়া বাহিনীর মূর্তি শুদ্ধকরণ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তারপরে রাতেও যাদবপুরে বাম মনোভাবাপন্ন একটি দলের সঙ্গে ও হিন্দু বাহিনীর সংঘর্ষ হয়।
তার জেরে এদিন সকাল থেকেই ধর্মতলার লেনিন মূর্তির পাদদেশে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। এছাড়া রাজভবনের কাছাকাছি কার্ল মার্কসের মূর্তির সামনেও পুলিশ পিকেট বসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব দলের মূর্তি ভাঙার বিরোধিতা করেছেন। রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা চলবে না বলেও জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও মূর্তি নিয়ে বিতর্ক থামছে না।
ত্রিপুরায় বাম সরকারের অবসান ঘটিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই গেরুয়া বাহিনীর দাপটে বেলোনিয়া লেনিনের মূর্তি ক্রেন দিয়ে ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ত্রিপুরায় আরও এক জায়গায় মূর্তি ভাঙার খবর সামনে আসে।
তারই প্রতিবাদে কলকাতায় কেওড়াতলায় মহাশ্মশানের কাছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি অতিবাম সংগঠনের একদল যুবক-যুবতী হাতুড়ি মেরে ফেলে মুখে কালি লেপে দেন। তার প্রেক্ষিতেই মূর্তি নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে সরকার।
তার জেরেই ধর্মতলায় কার্জন পার্কে মূর্তির নিরাপত্তায় পুলিশ পিকেট বসেছে। কলকাতা পুলিশ পার্কের গেটের প্রহরায় রয়েছে। পার্কে প্রবেশ করা গেলেও লেনিনের মূর্তির সামনে যাওয়া যাবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।