মোদীর নির্দেশেই পাহাড়ে গুরুংকে ইন্ধন দিলীপের, বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পার্থ
নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের সাহায্য নিয়েই যে গুরুংরা পাহাড়ে অশান্তি ছড়াচ্ছিল, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেছে। না হলে পাহাড়ে গিয়ে গুরুংয়ের সুরে কথা বলতেন না বিজেপি নেতারা।
'জনভিত্তি নেই, শুধু ঝামেলা বাধাতেই পাহাড়ে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের সাহায্য নিয়েই যে গুরুংরা পাহাড়ে অশান্তি ছড়াচ্ছিল, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেছে। না হলে পাহাড়ে গিয়ে গুরুংয়ের সুরে কথা বলতেন না বিজেপি নেতারা। ক্লিনচিট দিতেন না বিমল গুরুংকে। আর নিজেরাই অশান্তি পাকিয়ে রিপোর্ট চাইতেন না।'
শনিবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে বেরিয়ে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ ও সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে এক হাত নেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, '১০৪ দিন পাহাড়ে বনধ চলছে। তারপর শান্তি ফিরে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর সাহস ও সহিষ্ণুতার উপর ভর করে। কই সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তো চেয়ে পাঠালেন না অমিত শাহ-রা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আক্রান্ত হতেই দিল্লি থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন। আর সেই রিপোর্টে একজন রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ অভিযুক্তকে ক্লিনচিট দেওয়া হল।'
পার্থবাবু আরও বলেন, 'বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার পাহাড়ে গিয়েই রাষ্ট্রদ্রোহিতায় অভিযুক্ত মোর্চা সুপ্রিমোকে ফোন করলেন। তাঁর সঙ্গে ওই বাক্যালাপেই প্রমাণিত হল বিমল গুরুং-রা যে এতদিন পাহাড়ে আগুন জ্বালালেন, তাতে সায় ছিল বিজেপির। বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্যস্তরের নেতাদের উসকানিতেই বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে পাহাড়ে হিংসা চালানো হয়েছে। দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ তো আবার গুরুংয়ের সুরেই কথা বলেন। তিনি যে একজন সাংসদ, সেই নৈতিকতাও তাঁর নেই।'
তাঁর কথায়, '১০৪ দিনের বনধ শেষে পাহাড়ে শান্তি ফিরেছিল। সেই শান্ত পাহাড়ে ফের আগুন জ্বালাতে গিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহদের নির্দেশেই রাজ্য বিজেপির টিম পাহাড়ে গিয়েছিল। যেই দেখেছে পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী সহিষ্ণুতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন, স্বার্থসিদ্ধির জন্য অমনি দিলীপ ঘোষরা ছুটেছেন পাহাড়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে। কিন্তু মানুষ এই ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা বরদাস্ত করবে না।'
এদিন পূর্ব ঘোষণামতো কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির হীন চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বের করে তৃণমূল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মণীশ গুপ্ত, মদন মিত্র, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যদের নেতৃত্ব মিছিল করা হয়। দুপুর ১টা থেকে ২টো পর্যন্ত এই মিছিলে যানজটে অসুবিধায় পড়েন সাধারণ মানুষ। সাময়িক এই অসুবিধা ভোগের জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'তৃণমূল উনন্য়ন চায় আর ওরা চায় আগুন জ্বালাতে। পাহাড়ে যখন শান্তি ফিরিয়ে উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে, তখনই ঝামেলা পাকাতে গিয়েছে বিজেপি। আমরা তারই প্রতিবাদ জানাতে মিলিত হয়েছি।'