শুধু ১৭ কোটিই নয়! শতাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ৩০০টি ওয়ালেটের হদিশ
গার্ডেনরিচে যখের ধনের খোঁজ পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ১৪ ঘন্টার তল্লাশিতে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমত শহরজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুধু শহরের মানুষের মধ্যেই নয়
গার্ডেনরিচে যখের ধনের খোঁজ পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ১৪ ঘন্টার তল্লাশিতে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমত শহরজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুধু শহরের মানুষের মধ্যেই নয়, বিপুল পরিমাণ এই টাকা উদ্ধারের ঘটনা রীতিমত তাজ্জব কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারাও।
খাটের নীচে কীভাবে কোটি কোটি টাকা থাকতে পারে? তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন। শুধুই কি অনলাইন গেমের মাধ্যমে প্রতারণার টাকা এগুলি নাকি বড়সড় কেলেঙ্কারি রয়েছে! বিপুল এই টাকার উৎস খুঁজে পেতে মরিয়ে ইডির আধিকারিকরা। তবে এই কেলেঙ্কারি শুধু কলকাতাতেই নয়, গোটা দেশে ছড়িয়ে আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকার কেলেংকারি হয়েছে বলেও ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে।
খোঁজ নেই আমিরের
ঘটনার পর থেকেই এখনও পর্যন্ত আমিরের খোঁজ পাননি কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। তাঁর একের পর এক ফোন বন্ধ রয়েছে। তিনটি ফোন কোনও টির সঙ্গেই যোগাযোগ তদন্তকারীরা করতে পারছেন না বলে খবর। তবে আমির অন্য কোনও নম্বর ব্যবহার করতে পারে। সেই বিষয়টি অবশ্য নজরে রাখা হয়েছে। এমনকি পরিবারের অন্য কারোর সঙ্গে যোগাযোগ আমির করছে কিনা সেটিও নজরে রাখা হয়েছে বলে খবর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ঘটনার পর থেকে আমিরের বাবা নাসিরের খোঁজও তদন্তকারীরা পাচ্ছেন না বলে খবর।
বাবা পরিবহণ ব্যবসায় খাটত টাকা
একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন বড়সড় এই কেলেঙ্কারিতে শুধু আমির খান একা নন, তাঁর বাবাও জড়িত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পরিবহণ ব্যবসায় বিপুল পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে। আর সেখানেই আমিরের কালো টাকা সাদা করার কাজ করানো হত বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে আমিরের বাবার পরিবহণ ব্যবসাতেও ইডির তদন্তকারীদের নজর রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি একাধিক প্রভাবশালী এর পিছনে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১০০ টি বেনামি অ্যাকাউন্ট!
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১০০ টি বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে। এমনকি একাধিক ওয়ালেটের খোঁজও তদন্তকারীরা পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই সমসস্ত ওয়ালেটের উপরেই এখন নজর ইডির তদন্তকারীদের। তদন্তকারীরা মনে করছেন এই সমস্ত ওয়ালেটের মাধ্যমে গ্রাহকরা টাকা বিনিয়োগ করতেন। এই সমস্ত কিছু ভালো ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে খবর। পাশাপাশি আমির খানের দাদাকে শনিবারই আটক করে ইডি। তাঁকেও জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।
Atal Pension Yojana-নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! শনিবার থেকেই এর সুবিধা কারা পাবেন না জানুন