পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা! এই কংগ্রেস সাংসদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা
এবার কি তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীও। বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পর এই জল্পনাই উঠে আসছে। যদিও তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনার জন্যই তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়ি। ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হকের সঙ্গে হাজির দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। পরে বেরিয়ে তিনি জানান, কেন্দ্রে কংগ্রেস ও তৃণমূলের জোট হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও সেই জোট নিয়ে আলোচনার জন্যই তিনি গিয়েছিলেন সেখানে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তিনি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে ডালু বলেন, তিনি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন না।
অন্যদিকে ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক, যিনি ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যাওয়ার ব্যাপারে কথা পাকা করেছেন, তিনি সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন।
মইনুল হক-সহ মুর্শিদাবাদের তিন জন এবং মালদার দুজন কংগ্রেস বিধায়ক ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
মালদায় গিয়ে কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মুর্শিদাবাদের চিত্র মালদাতেও হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সেই পথেই এগোচ্ছে মালদার কংগ্রেস।
তবে মালদায় গণি পরিবারের সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নতুন কিছু নয়। পরিবারের একাধিক সদস্য ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।