অচল নোটের ফাঁসে শ্রীঘরই ঠিকানা বৃদ্ধের!
অচল নোট দিয়ে বকেয়া খোরপোশ মেটানোর ‘মাশুল’ গুনতে হল মুচিপাড়ার বাসিন্দা ষাটোর্ধ বিজয় শীলকে। প্রাক্তন স্ত্রী ওই বাতিল নোট নিতে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
কলকাতা,
১৬
নভেম্বর
:
অচল
নোটের
ফাঁসে
আপাতত
শ্রীঘরেই
স্থান
বৃদ্ধের!
এবার
৫০০
ও
হাজার
টাকার
নোটের
প্রভাব
পড়ল
বিচারক্ষেত্রেও।
অচল
নোট
দিয়ে
বকেয়া
খোরপোশ
মেটানোর
'মাশুল'
গুনতে
হল
মুচিপাড়ার
বাসিন্দা
ষাটোর্ধ
বিজয়
শীলকে।
প্রাক্তন
স্ত্রী
ওই
বাতিল
নোট
নিতে
রাজি
না
হওয়ায়
অভিযুক্তের
জেল
হেফাজতের
নির্দেশ
দেন
বিচারক।
ফলে
আপাতত
খোরপোশ
মামলায়
জেলই
বিজয়বাবুর
ঠিকানা।
গত তিন-চার বছর ধরেই বিজয়বাবু খোরপোশ দিচ্ছিলেন না প্রাক্তন স্ত্রীকে। শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন প্রাক্তন স্ত্রী সুমিত্রাদেবী। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই গ্রেফতার করা হয় বিজয় শীলকে। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের ফ্যামিলি কোর্টে সেই মামলার শুনানি হয়।
বিচারক রায় দেন, অভিযুক্ত বিজয় শীলের পক্ষ থেকে খোরপোশ বাবদ বকেয়া মিটিয়ে দিলে মামলাটির নিষ্পত্তি ঘটে যাবে। সেইমতো বিজয়বাবুর আইনজীবী বকেয়া ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে আসেন। আদালতে পেশও করেন। কিন্তু সেই টাকা নিতে অস্বীকার করেন বিজয়বাবুর প্রাক্তন স্ত্রী। কারণ, ওই টাকা সবই ৫০০ ও হাজার টাকার নোটে।
সুমিত্রাদেবীর প্রশ্ন, বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০০ ও হাজার টাকার নোট নিয়ে এখন আমি কী করব? বিজয়বাবুর আইনজীবী পাল্টা যুক্তি দেখান, এত টাকা কি এই মুহূর্তে বদলানো সম্ভব? এই অদ্ভুত পরিস্থিতিতে ফের অভিযুক্ত বিজয় শীলের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।