স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের অফিসে বিধ্বংসী আগুন, লিফটে আটকে দমবন্ধ হয়ে মৃত রেলের আধিকারিক, দমকলকর্মী-সহ নয়
স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের (rail) অফিসে অগ্নিকাণ্ডে মৃত নয় (nine)। সবারই মৃত্যু হয়েছে লিফটে আটকে, দমবন্ধ হয়ে। একটি লিফটে ছিলেন দুজন। অপর একটি লিফটে ছিলেন সাত জন। মৃতদের মধ্যে দমকলের চার কর্মী, রেলের এক পদস্থ আধিকারিকও রয়েছ
স্ট্র্যান্ড রোডে রেলের (rail) অফিসে অগ্নিকাণ্ডে মৃত নয় (nine)। সবারই মৃত্যু হয়েছে লিফটে (elevator) আটকে, দমবন্ধ হয়ে। একটি লিফটে ছিলেন দুজন। অপর একটি লিফটে ছিলেন সাত জন। মৃতদের (died) মধ্যে দমকলের চার কর্মী, রেলের এক পদস্থ আধিকারিকও রয়েছেন। মৃত্যু হয়ে পুলিশের এক এএসআই-এরও।
আগুনে নেভানোর সঙ্গে উদ্ধার কাজেও হাত লাগিয়েছিলেন দমকল কর্মীরা
সোমবার সন্ধে ছটা দশ। নিউ কয়লাঘাটায় রেলের অফিসে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে থাকে একের পর এক দমকলের গাড়ি। দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর সঙ্গে উদ্ধার কাজেও হাত লাগিয়েছিলেন। আগুন ১৩ তলা থেকে ১২ তলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। রেলের আধিকারিকদের উদ্ধার করে নিয়ে লিফটে নামছিলেন দমকলকর্মীরা। লিফটের মধ্যেই আটকে পড়েন তাঁরা।
দুটি লিফটে আটকে নয়জনের মৃত্যু
একটা সময়ে উদ্ধার কাজে যাওয়া দমকলকর্মীদের খোঁজ শুরু হয়। আগুন নেভানোর পরে দুটি লিফট ভাঙা হয়। প্রথম লিফট থেকে ঝলসানো অবস্থায় পাওয়া যায় সাতজনকে। তাঁদের মধ্যে চার দমকলকর্মী। এঁরে হলেন, গিরিশ দে, গৌরব বেজ, অনিরুদ্ধ জানা, বিমান পুরকায়েত। সেখানেই ছিলেন এএসআই অমিত ভাওয়াল। এছাড়াও ওই লিফটের মধ্যে ছিলেন, রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার পার্থসারথী মণ্ডল এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষী আরপিএফ কর্মী সঞ্জয় সাহানি। সবাইকেই অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। অপর লিফটে রেলের দুই কর্মী ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।
রাতেও আগুনের শিখা
রাত দুটো নাগাদ নিউ কয়লাঘাটার রেলের ওই অফিস থেকে আগুনের শিখা দেখা যায়। দমকলকর্মীরা ফের আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। ভোর চারটে নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা গিয়েছে। এদিন দিনের বেলায় ঘটনাস্থলে যাবেন ফরেনসিক আধিকারিকরা। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখবেন। তবে দমকলের প্রাথমিক অভিযোগ এই ধরনের বহুতলে যে ধরনের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা থাকা উচিত ছিল, তা এই ভবনে ছিল না। যদিও রেলের তরফে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা থাকার দাবি করা হয়েছে। রেলের তরফে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
এসএসকেএম-এ দেহ সনাক্তকরণ
এদিন সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে চলে দেহ সনাক্তকরণের জাক। সেখানে আটজনের দেহ শনাক্ত করেছেন পরিবারের সদস্যরা। বাকি একজনের দেহ এমনভাবে ঝলসে গিয়েছে যে তা শনাক্ত করার উপায় প্রায় নেই। এক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা করা হতে পারে। তবে পুলিশ ও রেলের কর্মীদের অনুমান মৃত নবম ব্যক্তিও রেলের কর্মী।