স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে মোমিনপুরের ঘটনার তদন্তে এনআইএ! লালবাজারে তদন্তকারীরা
গত কয়েকদিন আগেই গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল হয় কলকাতা! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। তবে এবার সেই ঘটনার তদন্তে নামল এনআইএ। মোমিনপুরের তদন্ত করতে এনআইএ'র আধিকারিকরা লালবাজারে গেলেন। তদন্তকারী সংস্থার পাঁচজনের প্রতিন
গত কয়েকদিন আগেই গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল হয় কলকাতা! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। তবে এবার সেই ঘটনার তদন্তে নামল এনআইএ। মোমিনপুরের তদন্ত করতে এনআইএ'র আধিকারিকরা লালবাজারে গেলেন। তদন্তকারী সংস্থার পাঁচজনের প্রতিনিধি দল আজ শনিবার লালবাজারে যান।
মোমিনপুরের ঘটনায় তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। এমনকি পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিট গঠন করা হয়।
এবার সেই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতেই লালবাজারে গেলেন এনআইএ'র আধিকারিকরা। জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশ বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে কলকাতা এনআইএ কর্তাদের। যদিও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। মূলত মোমিনপুরের ঘটনার তদন্তে নেমে লালবাজারের তদন্তকারী আধিকারিকরা কি পেয়েছেন সে বিষয়েই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বিস্তারিত তথ্য নেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রয়োজনে ঘটনাস্থলেই যেতে পারেন আধিকারিকরা।
বলে রাখা প্রয়োজন, এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা হয়। সেই মামলাতে বোমা বিস্ফোরণের পরেও কেন এনআইএকে ডাকা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। এমনকি রাজ্যের রিপোর্টের ভিত্তিতে ও মামলার গুরুত্ব বুঝে এনআইএ তদন্তের বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সিদ্ধান্তের উপর ছেড়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
যদিও গত কয়েকদিন আগে মোমিনপুরের ঘটনার তদন্তভার এনআইএকে নেওয়ার নির্দেশ দেয় অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর এরপরেই তদন্ত শুরু করে দেন কলকাতাতে নিযুক্ত তদন্তকারী আধিকারিকরা। এমনকি এফআইআর করে ব্যাঙ্কশাল আদালতে জমা দেওয়া হয় সেই কপি। এফআইআরে হিংসা ছড়ানো, বিস্ফোরক আইন, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
বলে রাখা প্রয়োজন, মোমিনপুরের ঘটনায় পাঁচটি এফআইআর করেছিল কলকাতা পুলিশ। শুধু তাই নয়, ঘটনায় অন্তত ৬১ জনকে গ্রেচতার করা হয়। এই সমস্ত বিষয়েই লালবাজারের কাছে তথ্য দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশ এনআইএকে সমস্ত তথ্য তুলে দেবে।
আর তা আগামী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে তুলে দিতে হবে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি অভিযুক্তদেরও নিজেদের হেফাজতে নিতে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, অক্টোবরের শুরুতেই অশান্তির ঘটনা ঘটে মোমিনপুরে। একের পর এক বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা সহ বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে।
এমনকি ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানা ঘেরাওয়ের মতো ঘটনাও ঘটে। যা নিয়ে একেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। একেবারে কড়া ভাষায় রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ করে বিজেপি। এমনকি শাসক দলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।