‘ট্রেলারে’ই কাঁপছে তৃণমূল! যুদ্ধ এবার দিল্লিতে, মোদী-রাজ্যে ফলের পর ফাইল খুলবেন মুকুল
আপাতত ফাইল বন্ধ রাখলেও, ঝুলি থেকে বেড়াল বেড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে যখন-তখন। সেটিই হবে আসল বোমা।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধর্ম-যুদ্ধে নেমেই কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। আপাতত ফাইল বন্ধ রাখলেও, তূণ থেকে তির বেরিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে যখন-তখন। সেটিই হবে আসল বোমা। সে আভাস দিয়েই রেখেছেন তৃণমূলত্যাগী মুকুল রায়। তবে আপাতত তাঁর নয়া দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরামর্শে বোমা ফাটানো থেকে বিরত তিনি। মোদী-রাজ্য গুজরাটের ফল প্রকাশের পরই পুরনো দলের বিরুদ্ধে আবার জুজু দেখাবেন মুকুল।
[আরও পড়ুন:পার্থ তো 'বাচ্চা ছেলে'! তৃণমূলের আর এক মন্ত্রীকে 'নাবালক' বললেন মুকুল, কেন]
তৃণমূলের থাকাকালীনই তিনি দলের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পরই তা প্রকাশ্যে এসেছে। আবারও তৃণমূলকে প্যাঁচে ফেলতে রাজ্যের একাধিক ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকে অভিযোগ জানাতে চলেছেন মুকুল রায়।
সোমবার ও মঙ্গলবার তিনি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঁচজন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। সোজা কথায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতেই যাচ্ছেন দিল্লির দরবারে। এর ফলরে রাজ্য সরকার তথা শাসক দলের সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর ফাইল তো তোলাই রয়েছে।
ফাইলের মুখ আপাতত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর 'ক্যাপ্টেন' অমিত শাহ। তিনি গুজরাট ভোট মিটলেই রাজ্যে আসতে পারেন। কলকাতায় মুকুল রায়কে নিয়ে তিনি সভা করতে পারেন। এই সভায় উপস্থিত থাকবেন মুকুলের রাজ্যের ক্যাপ্টেন দিলীপ ঘোষও। সেই সভায় দুই ক্যাপ্টেনকে পাশে নিয়ে ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে বোমা ফাটাবেন মুকুল।
মোদী-রাজ্যে ফলের পরই ওই ফাইলের মুখ খুলতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং অমিত শাহই। সেই মতোই পঞ্চায়েত ভোটের আগে পরিকল্পনা সা্জিয়ে বাংলায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। মুকুল রায়ও ক্যাপ্টেনের নির্দেশ মতো চলছেন। আপাতত তিনি এখন দিল্লিমুখী। এদিনই তিনি দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন।
সোমবার দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর আনা মামলার শুনানি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনি ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই মামলায় হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয় তা দেখেই তিনি পরবর্তী পরিকল্পনা স্থির করবেন। মন্ত্রী মহলেও তিনি এই অভিযোগ নিয়ে যাবেন। মোট কথা রাজ্যের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ জারি রাখছেন।
সেই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জিতেন্দ্র প্রসাদ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় সড়ক ও যোগাযোগমন্ত্রী নীতিন গড়করি, শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ারের সঙ্গেও দেখা করবেন। দেখা করবেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আদিত্যনাথের সঙ্গেও। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করবেন।