লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হবেন কে! সম্মুখ ‘সমর’-এ ফয়সালা করলেন মমতা স্বয়ং
রানিং সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। দল তাঁকেই টিকিট দিতে চায়। কিন্তু বেঁকে বসেছেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। এই অবস্থায় তৃণমূল নিল চরম পদক্ষেপ।
লোকসভার ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসে শুরু হয়ে গেল টিকিট নিয়ে লড়াই। অর্জুন সিং বনাম দীনেশ ত্রিবেদী। বারাকপুরে প্রার্থী হবেন কে। বারাকপুরের রানিং সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। দল তাঁকেই টিকিট দিতে চায়। কিন্তু বেঁকে বসেছেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। এই অবস্থায় দুজনকে নবান্নে ডেকে মুখোমুখি বসিয়ে সমস্যার সমাধান করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার নির্দেশ বেদবাক্য
নবান্নে ডেকে উভয়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলার পর অর্জুন সিংয়ের মান ভেঙেছে। তিনি জানিয়েছেন, দীনেশদাই প্রার্থী হবেন। আমি দীনেশদার হয়ে প্রচার করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে বেদবাক্য মনে করে অর্জুন সিং লড়াই থেকে সরে এলেন।
এক কথায় সমাধান সূত্র
বিশেষ সূত্রের খবর, ভাটপাড়ার বিধায়কের গুরুত্ব বাড়তে চলেছে। তাঁকে মন্ত্রী করা হতে পারে। বিধায়ক থেকে হতে চেয়েছিলেন সাংসদ। তিনি তার বদলে বিধায়ক থেকে মন্ত্রী হতে চলেছেন। তাই তিনি সাংসদ পদপ্রার্থী হওয়ার লড়াই থেকে সরে এসে দীনেশ ত্রিবেদীকে জেতাতে ময়দানে নামবেন তিনি।
সাংসদ বনাম বিধায়ক
দীনেশ ত্রিবেদী বারাকপুরের সাংসদ। এবারও বারাকপুর থেকে তাঁর টিকিট পাওয়াই যখন চূড়ান্ত ছিল, তখন আচমকাই বেঁকে বসেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। তিনি দলকে জানান, বারাকপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চান তিনি। তার কারণ বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তাঁর দখল প্রশ্নাতীত। তাই তিনি এবার স্বয়ং প্রার্থী হবেন।
হাত মেলালেন দুই নেতা
কিন্তু দল যে চায় দীনেশকেই। তাই ময়দানে নামলেন স্বয়ং মমতা। দুজনকেই ডেকে পাঠালেন নবান্নে। মুখোমুখি বসালেন দুজনকে। সমস্যা সমাধান করতে বললেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং যখন মধ্যস্থতাকারী, তখন সমাধান যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, তা-ই প্রমাণিত হল। উভয় নেতাই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে হাত মিলিয়ে নিলেন।