বাংলাকে নতুন ‘পরিচয়’ দিলেন মমতা, মুকুলের বিপ্লবে জল ঢেলে নয়া আন্দোলনের ডাক
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্বীকৃতিতে স্বাধীনতার ৭০ বছর পর নিজস্ব প্রতীক পেল বাংলা। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করলেন রাজ্যের সরকারি প্রতীক বিশ্ববাংলা লোগোর।
মুকলের কুরুক্ষেত্র-যুদ্ধে জল ঢেলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা বিশ্ববাংলা লোগোকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্বীকৃতিতে স্বাধীনতার ৭০ বছর পর নিজস্ব প্রতীক পেল বাংলা। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করলেন রাজ্যের সরকারি প্রতীক বিশ্ববাংলা লোগোর। এখন থেকে অশোক স্তম্ভের সঙ্গে বিশ্ববাংলার লোগোও ব্যবহার হবে সরকারি নথিপত্রে।
[আরও পড়ুন:মোদীর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে মিলেছিল নেত্রীর তকমা, এখন তিনিই বিজেপির 'তুরুপের তাস']
এদিন বিশ্ববাংলা লোগোর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর আমরা নিজস্ব প্রতীক পেলাম। প্রত্যেক রাজ্যেরই একটা নিজস্ব পরিচয় থাকা উচিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক স্বীকৃতি দেওয়ার পর রাজ্যের মুকুটে একটা নতুন পালক যুক্ত হল। এবার লক্ষ্য বাংলার নাম পরিবর্তন।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাজ্যের নিজস্ব প্রতীক থাকার বিষয়টি আগের কোনও সরকারই ভাবেনি। আমরা ভেবেছি, আবেদন করে তাঁর স্বীকৃতিও আদায় করে নিতে সমর্থ হয়েছি, এটা একটা শুভ মুহূর্ত। এখন থেকে সরকারি কাজে রাজ্যের আলাদা লোগো ব্যবহার করা হবে। অশোকস্তম্ভের পাশে থাকবে বিশ্ববাংলা লোগোও।'
মমতা জানান, 'শুধু বিশ্ববাংলা লোগোর স্বীকৃতিই নয়, এদিন ই-টেন্ডারিংয়েও পুরষ্কৃত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।' এই সেরার স্বীকৃতির দিনে মুখ্যমন্ত্রী অর্থ দফতর, তথ্য সংস্কৃতি দফতর-সহ সমস্ত সরকারি আধিকারিক-কর্মীদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'সকলের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া এই সেরার স্বীকৃতি মিলত না। সকলের অবদানেই এই সাফল্য এসেছে। এখন থেকে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।'
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের স্বীকৃতিপত্র নবান্নে পৌঁছয় বুধবার। রাজ্যের প্রতীক হিসেবে বিশ্ববাংলা লোগো ব্যবহারের অনুমতি মেলার পর এদিন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে নব দিগন্ত উন্মোচিত হল বাংলায়। মুকুল রায় যে বিশ্ববাংলা নিয়ে বিপ্লব রচনা করেছিলেন, সেই বিশ্ববাংলাই হল সরকারের প্রতীক।
গত মে মাসে বিশ্ববাংলা লোগোর স্বীকৃতি চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এতদিন সেই স্বীকৃতি আটকে ছিল। তবে লাল ফিতের বাঁধন খুলে মমতার আঁকা লোগোকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নবান্নে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে যান। তারপর এই স্বীকৃতি পেল রাজ্য। এবার মমতার লক্ষ্যে রাজ্যের নাম পরিবর্তন।