ভাঙচুরে ক্ষতিপূরণ ৭২ ঘণ্টায়! ধর্মঘট ব্যর্থ করতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের
কংগ্রেস ও বামেদের ডাকা বনধকে ব্যর্থ করতে এবার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বনধে গাড়ি ভাঙচুর হলে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।
কংগ্রেস ও বামেদের ডাকা বনধকে ব্যর্থ করতে এবার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বনধে গাড়ি ভাঙচুর হলে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করলে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বিমার টাকা থেকেই এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর।
রাহুল গান্ধী আহ্বান জানালেও এই বনধকে যে সমর্থন করবে না তৃণমূল কংগ্রেস, তা আগেই ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর বনধ বিরোধিতার প্রশ্নে অটল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং জানিয়ে দেন, বনধের দিন সরকারি কর্মীদের অর্ধদিবস ছুটিও মঞ্জুর হবে না। উপযুক্ত কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটা যাবে। তারপর পরিবহণ দফতরও নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দিল, গাড়ি ভাঙচুর হলে মিলবে ক্ষতিপূরণ।
বনধ ডাকলেই অনেক গাড়ি ভাঙচুরের ভয়ে বের হয় না রাস্তায়। ফলে শাসকদলের বনধ-বিরোধিতা সত্ত্বেও রাস্তাঘাটে গাড়ি-ঘোড়া অনেক কম থাকে। এবার সেই সমস্যা দূর করতে গাড়ি মালিকদের প্রতি বার্তা দিল রাজ্যের সরকার। পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন, বনধের দিনে রাস্তায় বেরিয়ে গাড়ি ভাঙচুর হলে সরকার পাশে দাঁড়াবে।
এ জন্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে হবে থানায়। তাহলেই বিমার ৭৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে গাড়ির মালিককে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিমার টাকা তাঁরা হাতে পাবেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে এ ধরনের উদ্যোগ নজিরবিহীন। আগে সরকারি কর্মীদের উপস্থিতি ও ছুটি নিয়ে কড়া মনোভাব পোষণ করলেও এবার গাড়ি ভাঙচুরে সরকার নমনীয় হল বনধ ব্যর্থ করার এই পদক্ষেপে।
উল্লেখ্য, পেট্রোপণ্যে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। বামেরাও আলাদা করে বনধ ডেকেছে। কার্যত কংগ্রেসকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বামেরা। তবে তৃণমূল যে এক্ষেত্রে বিজেপির বিরোধিতায় কংগ্রেসের পাশে থাকছে না, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। মোদী বিরোধিতায় রাহুল গান্ধী তৃণমূল কংগ্রেস-সহ সমস্ত বিজেপিবিরোধী দলকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই ডাকে অন্যান্য দলের সাড়া পেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাড়া পাচ্ছেন না রাহুল গান্ধী। তৃণমূল পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, যে ইস্যুতে বনধ, সেই ইস্যুকে আমরা সমর্থন করি, কিন্তু বনধকে সমর্থ করি না।