গড়িয়াহাটে কর্পোরেট কর্তা খুনের তদন্তে সাফল্য, গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার
গড়িয়াহাট (Gariahat) থানার অধীন কাঁকুলিয়ায় কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি (Subir Chaki) এবং তাঁর গাড়ির চালক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা তাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছেন। ট্রানজি
গড়িয়াহাট (Gariahat) থানার অধীন কাঁকুলিয়ায় কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি (Subir Chaki) এবং তাঁর গাড়ির চালক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা তাকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছেন। ট্রানজিট রিমান্ডে ভিকি হালদারকে (vicky halder) কলকাতায় আনার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
মুম্বই থেকে গ্রেফতার
সূত্রের খবর অনুযায়ী, হেফাজতে থাকা ভিকির মা এবং অন্য বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে কলকাতার পুলিশের একটি তদন্তকারী দল মুম্বইয়ে যায়। রবিবার বিকেলে তাঁরা পৌঁছে যান এসএস মার্গের সেন্ট জেভিয়ার্স স্ট্রিটের কল্পতরু আভানা একটি নির্মীয়মান ৪৮ তলা ভবনের পার্কিং লটে। সেখান থেকে তাঁরা গ্রেফতার করেন ভিকি হালদার এবং তার সহযোগী শুভঙ্কর মণ্ডলকে।
ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হচ্ছে কলকাতা
রবিবার গ্রেফতারের পরে এদিন ভিকি হালদার ও তার সহযোগী শুভঙ্কর মণ্ডলে সেখানকার আদালতে তুলে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য আবেদন করে কলকাতা পুলিশ। এদের দুজনকে কলকাতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে জোড়া খুনের পিছনে আর কেউ আছে কিনা, তা খুঁজে দেখার চেষ্টা করবে কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারকরা।
১৭ অক্টোবর খুন সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালক
প্রায় ১০ মাস আগে কাঁকুলিয়ার বাড়ি বিক্রি করতে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি। সেই সময় একবার ভিকি খোঁজ নিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভিকি জানতে পারে সেই বাড়ি এখনও বিক্রি হয়নি। এবার পরিচয় বদল করে সে সুবীর চাকির সঙ্গে যোগাযোগ করে বাড়ি কিনবে বলে। নিজেকে কর্পোরেট কর্তা বলে পরিচয় দেয়। কথা বলার সময় সুবীর চাকির সম্পর্কে অনেক কথাই বলে। যার জেরে বিশ্বাস করে ফেলেন সুবীর চাকি। পুজোর মধ্যেই বাড়ি দেখতে চেয়ে ফোন করেছিল ভিকি। কিন্তু নিউটাউনের আবাসনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ততার কারণে সুবীর চাকি যেতে পারেননি। এরপর ফোনে কথা মতো ১৭ অক্টোবর রবিবার বিকেলে গাড়ির চালককে নিয়ে সেই বাড়িতে যান সুবীর চাকি। সন্ধের পরে ফোনে খোঁজ না পেয়ে বাড়ির লোকের গড়িয়াহাট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর রাতে সেই বাড়ি থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ভিকির মা মিঠু
এই খুনে ভিকির মা মিঠু ঘটনাস্থলে না থাকলেও সবরকমের সাহায্য করেছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছেন। খুনের ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যে মিঠু হালদারকে ডায়মন্ডহারবারের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে সবই বলে দেয়। প্রথমে সুবীর চাকিকে ভয় দেখানো হয়। কিন্তু তিনি ভিকিকে চিনে ফেলায় প্রথমে গাড়ির চালককে এবং পরে সুবীর চাকিকে খুন করে ভিকি ও তার সঙ্গে থাকা দলবল। তবে এই খুনে পুলিশকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছে সুবীর চাকির বাড়ির বিপরীতের বাড়িতে থাকা সিসিটিভি। এছাড়াও মিঠু হালদার ডায়মন্ডহারবারে যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়ির কর্ত্রীও জানান, ১৮ অক্টোবর তিনি মিঠু হালদারকে রক্তমাখা জামা ধুতে দেখেছেন।
মোদী গ্লাসগোয় পা রাখতেই উল্লাস ভারতীয়দের, জলবায়ু পরিবর্তনই জি-২০ সামিটে আলোচনায় লাইমলাইটে
আয়বৃদ্ধির সঙ্গে মানতে হবে মূল্যবৃদ্ধিও! দাওয়াই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মন্ত্রীর