কলকাতার শ্মশানে প্রথম করোনায় মৃতকে পোড়াতে বাধা, পুলিশের হস্তক্ষেপে মিটল কাজ
করোনা আক্রান্তকে কি সমাজ দূরেই রাখে চায়, সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে শহরের প্রথম করোনা আক্রান্তের শেষকৃত্য করার সময়।
করোনা আক্রান্তকে কি সমাজ দূরেই রাখে চায়, সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে শহরের প্রথম করোনা আক্রান্তের শেষকৃত্য করার সময়। সোমবার রাতে দেহ নিমতলা শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। যদিও পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
শহরের প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু বেসরকারি হাসপাতালে
সোমবার দুপুর ৩.৩৫-এ কলকাতায় প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়। ৫৭ বছর বয়স্ক প্রৌঢ় পূর্ব রেলে কর্মরত ছিলেন। গতমাসের শেষের দিকে বিলাসপুর গিয়ে এমাসের ২ তারিখ কলকাতায় ফেরেন আজাদহিন্দ এক্সপ্রেসে। ১০ মার্চ থেকে তাঁর জ্বর শুরু হয়। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় ১৬ মার্চ তাঁকে সল্টলেকের আমরিতে ভর্তি করানো হয়। নাইসেড ছাড়াও এসএসকেএম-এ ওই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
হাসপাতালে আসতে অস্বীকার পরিবারের সদস্যের
ওই প্রৌঢ়ের স্ত্রী-সহ একাধিক সদস্য ভর্তি রয়েছেন এমআর বাঙুর হাসপাতালে। ফলে মৃত্যুর পর খবর যায় বাড়িতে। যিনি ওই প্রৌঢ়কে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন, তাঁকেও খবর দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি হাসপাতালে আসতে অস্বীকার করেন।
মৃতদেহ শ্মশানে নিতে টানাপোড়েন
মৃতদেহ শ্মশানে নিতে টানাপোড়েন চলে বেশ কিছুক্ষণ। সল্টলেকের কোনও শববাহী গাড়িই দেহ নিয়ে যেতে রাজি হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিধাননগর পুলিশ ও পুরসভার সহযোগিতায় দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিমতলা শ্মশানে। তার আগে দেহ ঠাণ্ডা ঘর থেকে বের করে কেমিক্যাল মাখিয়ে বিশেষ প্যাকেটে ঢোকানো হয়। শববাহী গাড়ির সঙ্গে যান স্বাস্থ্যভবনের এক কর্তা, চিকিৎসকরাও।
নিমতলায় মৃতদেহ দাহ করতে বাধা
সোমবার রাত ১০ টা নাগাদ স্থানীয়রা নিমতলায় দেহ দাহ করতে বাধা দেন। খবর যায় কলকাতা পুলিশের কাছে। পরে তাদের হস্তক্ষেপেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
(প্রতীকী ছবি)